জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর তথ্য) মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেছেন, অন্তত এক কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় আছে। কিন্তু এদের মধ্যে গতবছর মোটামুটি প্রতি চার জনে একজন রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এনবিআরের অংশীদার ও এনবিআর ব্যবসা সহজ করার জন্য বিভিন্ন বিধিবিধানের সংস্কার ও আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
গত বছর করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিনধারী ৮৩ লাখের মধ্যে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ তাদের রিটার্ন জমা দেয়, যা মোহাম্মদ জাহিদের কাছে 'অসন্তোষজনক'।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সরকারকে মাঝে মাঝে এসআরও’র মাধ্যমে আর্থিক বিল, ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন করতে হয় এবং একজন উদ্যোক্তা হিসেবে একজন ব্যবসায়ীকে এসব বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
তিনি জানান, ‘আমরা কিছু পরিবর্তন দেখেছি যেমন নগদ লেনদেনের সীমা বাড়ানো, ৩৮টি বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা দেয়া, কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধন ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রাসায়নিকের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ছাড়, কম্পিউটার আনুষঙ্গিক আমদানিতে ভ্যাট বৃদ্ধি, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট ছাড়।’
তিনি আরও বলেন যে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের তাদের হিসাব বই বজায় রাখার জন্য এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত।