ডিসিসিআই
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব ডিসিসিআই সভাপতির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী দল ও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মো. সমীর সাত্তার।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যবসা ও অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড এড়াতে ঐক্যমতে পৌঁছানো উচিত। অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে এটি করা উচিত।’
সাক্ষাৎকারটি একটি সিরিজের একটি অংশ, নির্বাচন-সম্পর্কিত অবরোধ কীভাবে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা বোঝার জন্য সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এই সিরিজ প্রকাশ করছে।
সমীর বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেক উপায়ে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন- সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত, রপ্তানি আয় হ্রাস এবং উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হরতাল ও অবরোধের পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। যা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে পারে।
একজন কর্পোরেট আইনজীবী হিসেব সমীর বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস ফেরানো এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখার উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘যদি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য দেখি, আমরা দেখছি কোভিড-১৯ মহামারি এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন অস্থিরতা; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই ঘটনাগুলো বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তোলে।
ডিসিসিআই প্রধান বলেছেন, এতে জ্বালানির দাম এবং ব্যবসা করার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে কোম্পানি আইন দ্রুত সংস্কারের আহ্বান ডিসিসিআইয়ের
তিনি বলেন, বিরোধীদের ডাকা চলমান অবরোধ ও হরতালের কারণে পরিবহন চলাচল কমে যাওয়ায় স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়, ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কিভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে হরতাল ও অবরোধ অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল।
ঢাকা চেম্বার জানিয়েছে, ২০১৩ সালে এই ধরনের অস্থিরতার কারণে দৈনিক ১৬০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
২০১৪ সালে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, দৈনিক আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।
এসব গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ডিসিসিআই প্রধান সমীর বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা শুধু ব্যবসার পরিবেশকেই বিপন্ন করছে না, জীবনযাত্রার মানকেও প্রভাবিত করছে।
জাতীয় অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে ডুবে যেতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে এটি বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করছে।
সমীর বলেন, বাংলাদেশের হরতাল-অবরোধ সংস্কৃতি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে মারাত্মক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি মনে করেন, এই ব্যাঘাত সমগ্র অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে; যা উৎপাদন, কৃষি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন শিল্পকে প্রভাবিত করতে পারে।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাতের ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, চাকরি হারানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থান দুর্বল হতে পারে। চলমান হরতাল-অবরোধ রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে।
তিনি আরও বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ হ্রাস পাওয়ার একটি প্রধান হুমকি; বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগের (এসএমই) জন্য।
তিনি সতর্ক করেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের ৮০ শতাংশ কর্মকাণ্ডে হরতাল ও অবরোধের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
১ বছর আগে
শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
সোমবার (২৬ জুন) ডিসিসিআই মিলনায়তনে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সমীর সাত্তার এবং বিসিক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নথিতে স্বাক্ষর করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সমীর সাত্তার বলেন, এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ডিসিসিআই-এর নতুন সদস্য তালিকাভুক্তি/সদস্য নবায়ন এবং কান্ট্রি অব অরিজিন (সিও) পরিষেবাগুলো বিসিকের ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালের সঙ্গে একীভূত হবে।
তিনি আরও জানান, বিসিকের ওএসএস বর্তমানে নিজস্ব ২৯টি এবং অন্যান্য ১৩টি সংস্থার পরিষেবা প্রদান করে। এছাড়া, এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিসিকের যে কোনো ঢাকাভিত্তিক সদস্য ডিসিসিআই-এর সদস্য হতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি সমঝোতা স্মারকটি বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে না পারি, তাহলে এটি শুধুমাত্র একটি স্বাক্ষরিত দলিল হিসেবে থাকবে এবং এর থেকে কেউ কোনো সুবিধা পাবে না।
বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবর রহমান বলেন, দেশে দ্রুত শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিসিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারক দেশে শিল্পায়নকে সহজতর করবে।
এছাড়াও, এই সমঝোতা স্মারকটি ভবিষ্যতে বৃহত্তর ব্যবসায়িক একীকরণের জন্য বিসিক ও ডিসিসিআই সদস্যদের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনা আলী, পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি), বিসিক, কাজী মাহবুবুর রশীদ এবং ডিজিএম (প্রযুক্তি) ও আইসিটি প্রধান, বিসিক ইঞ্জি. মো. দেলোয়ার হোসেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে ৮-১০টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা
১ বছর আগে
১ কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় থাকলেও অধিকাংশই রিটার্ন জমা দেয় না: এনবিআর কর্মকর্তা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর তথ্য) মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেছেন, অন্তত এক কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় আছে। কিন্তু এদের মধ্যে গতবছর মোটামুটি প্রতি চার জনে একজন রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এনবিআরের অংশীদার ও এনবিআর ব্যবসা সহজ করার জন্য বিভিন্ন বিধিবিধানের সংস্কার ও আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
গত বছর করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিনধারী ৮৩ লাখের মধ্যে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ তাদের রিটার্ন জমা দেয়, যা মোহাম্মদ জাহিদের কাছে 'অসন্তোষজনক'।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সরকারকে মাঝে মাঝে এসআরও’র মাধ্যমে আর্থিক বিল, ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন করতে হয় এবং একজন উদ্যোক্তা হিসেবে একজন ব্যবসায়ীকে এসব বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
তিনি জানান, ‘আমরা কিছু পরিবর্তন দেখেছি যেমন নগদ লেনদেনের সীমা বাড়ানো, ৩৮টি বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা দেয়া, কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধন ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রাসায়নিকের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ছাড়, কম্পিউটার আনুষঙ্গিক আমদানিতে ভ্যাট বৃদ্ধি, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট ছাড়।’
তিনি আরও বলেন যে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের তাদের হিসাব বই বজায় রাখার জন্য এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: চার মাসে ৯০৯০১.৯৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের
৩৩০টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে এনবিআর
২ বছর আগে
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ ডিসিসিআইয়ের
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বুধবার কলকাতার একটি হোটেলে কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রহমানের নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের একটি ডিসিসিআই প্রতিনিধিদল মতবিনিময় সভা করেছে।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস, জুতা, জ্বালানি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, আইসিটি এমন কিছু ক্ষেত্র যেখানে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা সুযোগগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ উভয় পক্ষের ব্যবসার জন্য একটি জয়-জয় পরিস্থিতির সূচনা করবে।
এদিকে কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শৈলজা মেহতা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ‘সুবিধাজনক বাণিজ্য পরিসংখ্যান অর্জনের জন্য, উভয় দেশকে সক্রিয় শিল্প অংশগ্রহণের সঙ্গে বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত বাজার অ্যাক্সেস, উন্নত ভৌত সংযোগ, ট্রানজিট ও জ্বালানি বাণিজ্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
তিনি পর্যটনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন যেখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আবুধাবির বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ডিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে রয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস তা ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মধ্যে ঘাটতি থাকলেও দিন দিন তা কমছে।
গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
প্লাস্টিক খাতকে উৎসাহিত করতে আরএমজি সাফল্য মডেল অনুসরণের আহ্বান
এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্লাস্টিক খাতের টেকসই উন্নয়ন, প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ,সংশ্লিষ্ট নীতির আধুনিকীকরণ, বায়ো-প্লাস্টিকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা, সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েবিনারের বক্তারা।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি-পরবর্তী বিশ্বে টেকসই রপ্তানি বৃদ্ধি: প্লাস্টিক খাতের কৌশল’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব বিষয়ের ওপর জোর দেন।
বক্তারা প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) আকৃষ্ট করার জন্য দেশীয় বাজার রক্ষায় আলোচনার দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়ন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, স্বীকৃত বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব সুবিধা বাড়ানোর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক ব্যবসা বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল পণ্য ডিজাইনিং এর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী দশকে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী যা বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন।
তিনি আরও ভালো প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানের আহ্বান জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব সার্টিফিকেশন এজেন্সি থাকা উচিত এবং তিনি পিপিপি মডেলকে সর্বোত্তম বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সার্টিফিকেশনের জন্য এখন আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করছি। ‘আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার এড়াতে পারি না, বরং দূষণ কমানোর জন্য আমাদের ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওষুধ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক পণ্য নিতে আগ্রহী ইথিওপিয়া
প্লাস্টিক খাতের রপ্তানির জন্য লজিস্টিক খরচ সত্যিই বেশি এবং এটি হ্রাস করা দরকার বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
রিজওয়ান রহমান বলেন, জিডিপিতে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির অবদান দশমিক ৩৩ শতাংশ। তিনি উল্লেখ করেন, প্লাস্টিক খাতে প্রায় পাঁচ হাজার ১১০টি কোম্পানি কাজ করছে এবং এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই এসএমই।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, টেকসই শিল্প প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকার একটি খসড়া প্লাস্টিক নীতি তৈরি করেছে। যেহেতু এলডিসি-পরবর্তী সময়ে অনেক অগ্রাধিকার থাকবে না তাই সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ এবং আরটিএ স্বাক্ষর করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের আরএমজি সাফল্যের মডেলটিকে অন্যান্য রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাতেও প্রযোজ্য করতে হবে।
২ বছর আগে
রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে বিশ্ব বাজারের নতুন চাহিদা চিহ্নিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিশ্ব বাজারের নতুন চাহিদা চিহ্নিত করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাজার গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে যে আমরা আমাদের রপ্তানিকে আরও বেশি সচল করতে চাইলে কী কী নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারি।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সংযুক্ত করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে মুজিব বর্ষ ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, কোন দেশে কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা আছে সেটা রপ্তানিকারকদের চিহ্নিত করতে হবে এবং উৎপাদক ও নির্মাতাদের সেসব পণ্য উৎপাদনের বিষয়ে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, বিশেষ করে বেসরকারি খাতকে এই বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানি আইটেমের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন দাবি রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে আমরা চাইলে যেকোনো কিছু উৎপাদন করতে পারি,আমার সেই আত্মবিশ্বাস আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। তারা এই দেশগুলোর বাজার দখল ও পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ভবিষ্যতে প্রাচ্য ও পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধনে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি আমাদের ব্যবসা ও বাণিজ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন,বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ,ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো.জসিম উদ্দিন ও ডিসিসিআই সভাপতি রিজার্ভ হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেশের বাণিজ্য,ব্যবসা ও বিনিয়োগের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা ও মেঘনা নামে দুই বিভাগ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিপণ্যের সঠিক বিপণনের জন্য দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মহামারিকালেও চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। উৎপাদনে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বড় বড় কোম্পানিগুলো এগিয়ে না আসলে সুষ্ঠু ও টেকসই বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে না।
মন্ত্রী বুধবার সকালে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘মহামারিতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং সরবরাহ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদন একটু বেশি হলেই বিপণনে সমস্যা দেখা দেয়। এ বছর আম ও আলুর উৎপাদন বেশি। তবে দাম কম। বর্তমানে কৃষকেরা আলু বিক্রি করতে পারছেন না। প্রক্রিয়াজাত করে আমের জুস, জেলি, আলুর চিপস প্রভৃতি ব্যাপক হারে করতে পারলে বিপণনে সমস্যা হতো না। কৃষকেরা ভাল দাম পেতো। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই ও ডিসিসিআইকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: ধর্মান্ধদেরকে দেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বিএসটিআইর মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার, কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সালেহ আহমেদ, ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনকেএ মুবিন, এনএটিপির উপদেষ্টা মাহবুব আলম, ফুডপান্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারিন রেজা প্রমুখ ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মানসম্পন্ন পণ্যের রপ্তানি নিশ্চিত করতে ঢাকার শ্যামপুরে ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ’ আধুনিকায়নে ১৫৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ: ডিসিসিআই-বুয়েটের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যকার একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সোমবার এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পখাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি শিল্পখাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, ডিসিসিআই এবং বুয়েট যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, চাকরি মেলা, ব্যবসায়ী সম্মেলন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের জন্য মডেল উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: ডিসিসিআই
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ছয় দশক ধরে বিশেষ করে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশের বৃহৎ অকাঠামোখাতে উন্নয়ন ও পরামর্শ প্রদান এবং বিশেষ করে প্রাকৃতিক দূযোর্গ মোকবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে বুয়েট সবসময়ই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের শিল্পায়নের গতি তরান্বিতকরণে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সর্বোপরি শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে যৌথভাবে খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ডিসিসিআই সভাপতি আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, 'শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের মাধ্যমে ভবিষৎ প্রজন্মকে একটি দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তরের ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের মানব সম্পদকে পুনঃদক্ষ করার লক্ষ্যে, এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পন্নোত দেশ হিসেবে পরিণত হতে হলে, শিল্পখাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
তিনি জানান, আগামীতে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষকরে শিল্পখাত বিষয়ক গবেষণা আরো বৃদ্ধি করবে।
উপাচার্য বলেন, শিল্পখাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় বাড়ানো বিকল্প নেই।
এছাড়া তিনি সমঝোতা চুক্তিটির যথাযথ বাস্তবায়নে বছর ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করেন।
এসময় তিনি দক্ষতা উন্নয়নে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি হারে শিল্পখাতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ সভাপতি এন কে মবিন, বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জাব্বার খান, ফ্যাকাল্টি’র ডীন ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা, ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
শিক্ষানীতিতে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রমে আরও গুরুত্বারোপ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বৈশ্বিক সংকট কোভিড মাহমারি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একধরনের সংকটে ফেলেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার বলেছেন, প্রতিটি সংকটই সম্ভাবনার নতুন দিক উন্মোচন করে। কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
৪ বছর আগে
শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা কারিকুলামকে যুগোপযোগী করার আহ্বান
শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা কারিকুলামকে যুগোপযোগী করার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
৪ বছর আগে