তিনি বলেন, ‘ধান সংগ্রহ করার ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি। সাধারণত বোরোতে আগে আমরা যা নিতাম তার থেকে আরও অনেক বেশি আমরা নিচ্ছি। ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গম কিনবে সরকার। তাতে ভবিষ্যতে আমাদের আর অভাব হবে না। আমরা মানুষকে খাবার সহযোগিতা দিতে পারব।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
জেলাগুলো হলো- কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে প্রণোদনা দিয়েছে এটা শুধু এ বছরের জন্য না, আগামী তিন বছরে যাতে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে সেটা মাথায় রেখে এটা আমরা অব্যাহত রাখব। যাতে আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট না পায়।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। এটা থেকে আমাদের দেশকে বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
‘আমি এটুকু অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে যাতে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা না দেয় সেজন্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি।