মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ৭৭৯টি জলমহাল (পুকুর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূমসহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত মৎস্য অধিদপ্তর এসব পুকুর সংস্কার করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
মৎস্য অধিদপ্তর স্থানীয় সমবায় সমিতির আওতাভুক্ত মাছ চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করারও উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ‘নিমগাছি এলাকায় সমাজভিত্তিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে দেশে মাছের চাহিদা পূরণে অবদান রাখার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদিত সুস্বাদু দেশিয় প্রজাতির মাছ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দেশের অপার সম্ভাবনাময় জলজ সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্থানীয় আপামর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নেও অবদান রাখবে এই কার্যক্রম।
প্রসঙ্গত, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ৩৯ হাজারের বেশি জলমহাল থেকে ইজারাবাবদ প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হয় এবং এর থেকে আহরিত মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণি দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে। দেশের বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে জলমহালের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ
চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি