হস্তান্তর
মঙ্গলবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে মৎস্যজীবীদের
বিভিন্ন সময়ে আটক হয়ে ভারতে বন্দি ৯০ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও নৌকর্মী অবশেষে দেশে ফিরছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে পরিবার ও ট্রলার মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে মৎস্যজীবীদের।
বিপরীতে বাংলাদেশে আটক ৯৫ ভারতীয় মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীকেও হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি মাছ ধরার নৌযান ফেরত আনা হয়েছে। ভারতের ছয়টি ফিশিং বোট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হস্তান্তর হয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাকিব মেহবুব ইউএনবিকে বলেন, ‘ভারত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭৮ নাবিক ও ১২ মৎস্যজীবী রয়েছেন। আজ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় তাদের নিয়ে আসা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে মৎস্যজীবীদের ট্রলার মালিক ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২০২৪ সালের বিভিন্ন সময় একে অপরের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তারা আটক হয়েছিলেন। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের যার যার দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এর অংশ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে উভয় দেশে হওয়া মামলা তুলে নেওয়া হয়।
৩ দিন আগে
কারাভোগ শেষে জেএমবি সদস্যসহ ৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল ভারত
ভারতে চার বছর কারাভোগ শেষে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এর রহমতউল্লাহসহ সাত বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো ভারত।
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
রহমতউল্লাহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্দা তিনি।
ফেরত আসা ছয় জনের মধ্যে একজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি পটুয়াখালী ও নারীর বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রহমতউল্লাহ জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ও পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনার পর পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেন। অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ায় কোলকাতা পুলিশের হাতে আটক হন তারা। চার বছর কারাভোগ শেষ হওয়ার পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে আনা হয়। এছাড়া ২০১২ সালের ২ এপ্রিল ঢাকার দারুসসালাম থানা ও ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার আসামিদের একজন রহমতউল্লাহ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১২ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে প্রিজন ভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে তিন জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেন রহমতউল্লাহ ও তাদের সহযোগীরা। এ সময় রহমতউল্লাহ ও তাদের সহযোগীদের গুলিতে পুলিশের এক সদস্য নিহত ও একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) আহত হন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, ভারতে গিয়ে পুলিশের হাতে তারা আটক হন। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
এছাড়া সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে তাদের একটি এনজিওর কর্মকর্তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি রাসেল মিয়া।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, রহমতউল্লাহর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকার রহমতউল্লাহর ভারতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে দুই দেশের সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তাকে ফেরত আনা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
১ সপ্তাহ আগে
ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাতে র্যাব সদস্যরা মধ্যস্থতার মাধ্যমে বান্দরবানের বাথেলপাড়া এলাকা থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী নাজমুল নাহার জানান, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: অপহৃত সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি কেএনএফের
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্র। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে তারা।
বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করে বিছিন্নবাদীরা।
আরও পড়ুন: ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও
৯ মাস আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকেরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার মোসা. বিউটি, চাঁদপুরের নিশ্চিন্তপুরের রিয়াহ হোসেন, যশোরের অভয়নগরের মোসা. বিনা বেগম, মো. শেখ সাদী। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহিনা বেগম, জামালপুরের মেলান্দহের দুই ভাই মো. শামিম মিয়া ও মো. সুহান মিয়া। জামালপুরের ইসলামপুর থানার মো. ফারুখ হোসেন ও আসমা বেগম এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তৃষ্ণা অধিকারী তিশা।
সাজা শেষে তিশা আগড়তলার জওহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাসে এবং বাকিরা নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থান করছিলেন।
পরিবার ও সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
তিনি আরও জানান, পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমাদের জন্য খুবই আনন্দের দিন যে আমরা ১২ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করতে পারছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জনসচেতনতা আরও জোরদার করতে হবে।
এ সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা প্রদান করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
১১ মাস আগে
বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে তারা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এ সময় বিএসএফ দল তাদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন।
ঘটনার পরদির রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফের কাছে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
এদিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি। সন্ধ্যার পর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এর এডি মো. হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
১ বছর আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
বিভিন্ন সময় কাজের প্রলোভনে পড়ে ভারতে পাচার হওয়া ১০ বাংলাদেশিকে কারাভোগ শেষে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি থেকে বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেন তারা। গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন তাদের দেশে প্রত্যাবসনের উদ্যোগ নেয় এবং তাদের পরিচয় ও জাতীয়তা নিশ্চিতকরণের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের হাইকমিশনের সহযোগিতায় অবশেষে তাদের ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫ বাংলাদেশি
এদিকে হস্তান্তরের সময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, জরুরি কাউন্সেলিং সেবা ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন—সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কামীল আহমেদ, বাহার উদ্দিন, কাওসার আহমেদ, ফয়সাল আলম, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মোছা. সবুরা খাতুন, মোছা. হালিমা খাতুন, মোছা. হোসনে আরা খাতুন, খাজা ময়েন উদ্দীন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রাসেল জমাদ্দার ও গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার মো. ইব্রাহিম হাওলাদার।
এদের মধ্যে মোছা. সবুরা খাতুন, মোছা. হালিমা খাতুন, হোসনেআরা খাতুন ও খাজা ময়েন উদ্দীন একই পরিবারের সদস্য।
তারা জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে দালালরা তাদের ভারতে পাচার করে দেয়। তাদের মেঘালয়ের একটি এলাকায় রাখলে পুলিশ আটক করে। এরপর সেখানকার আদালত ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জোয়াই জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। পরে সেখানেই চারজন কারাভোগ করেছেন।
টাঙ্গাইলের মোছা. হোসনে আরা বলেন, স্বপন নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে ২৫ হাজার টাকার চাকরি দেওয়ার লোভ দেখায়। পরে আমি, আমার মা মোছা. সবুরা বেগম, বড় বোন মোছা. হালিমা বেগম, আর ১১ বছর বয়সী ছোট ভাই খাজা ময়েন উদ্দিনকে নিয়ে যায়। গাড়িতে তোলার কিছুক্ষণ পরে আমাদের আটক করা হয়৷
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস জেলে ছিলাম আমি, মা আর বড় বোন। ছোট ভাইকে রাখা হয় আলাদা জায়গায়। ফিরে আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। ব্র্যাককে অনেক ধন্যবাদ আমাদের ফেরত আসতে সাহায্য করার জন্য।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
সিলেটের কাওসার আহম্মদ মেঘালয়ে যান কাজের আশায়। ভালো কাজ দেওয়ার লোভ দেখালেও পরে কাজ করলেও ঠিকমতো টাকা দিত না। দেশে ফিরে আসতে চেষ্টা করলে তাকে আটক করে জেলে পাঠায়।
সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ১০ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে ভারতের মেঘালয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে আটক হন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাদের জেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হয় এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগাযোগ করে তাদের দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সংগ্রহ করে মেঘালয় সহকারী হাইকমিশন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনু মিয়া ফেরত আশাদের গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, প্রায় আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাই। এই ধরনের ঘটনা থামাতে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জোয়াই ডিস্ট্রিক্ট জেলের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট বাটস্কামেম ননিবারি বলেন, আসলে দুই প্রান্তের দালালদের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনেককে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। বৈধ পথে না আসায় আটক হন।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল হাসান জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের স্থল সীমান্ত পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম সীমান্ত। ৩০ জেলার সঙ্গে ভারত সীমান্ত।
তিনি আরও জানান, ফলে মানব পাচারকারীরা এই সুযোগে নেয়। নানা প্রলোভন দেখিয়ে বা বিদেশে কাজের কথা বলে ভারতে নেয়। এজন্য সচেতনতা জরুরি।
তামাবিল-ডাউকি স্থলবন্দরে তাদের ভারত থেকে গ্রহণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন—তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনু মিয়া, মেঘালয় রাজ্যের জোয়াই ডিস্ট্রিক্ট জেলের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট বাটস্কামেম ননিবারি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উপব্যাবস্থাপক শায়লা শারমিন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৫০ কিশোর-কিশোরী
১ বছর আগে
৭৭৯টি জলমহাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করছে ভূমি মন্ত্রণালয়
মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ৭৭৯টি জলমহাল (পুকুর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূমসহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত মৎস্য অধিদপ্তর এসব পুকুর সংস্কার করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
মৎস্য অধিদপ্তর স্থানীয় সমবায় সমিতির আওতাভুক্ত মাছ চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করারও উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ‘নিমগাছি এলাকায় সমাজভিত্তিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে দেশে মাছের চাহিদা পূরণে অবদান রাখার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদিত সুস্বাদু দেশিয় প্রজাতির মাছ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দেশের অপার সম্ভাবনাময় জলজ সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্থানীয় আপামর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নেও অবদান রাখবে এই কার্যক্রম।
প্রসঙ্গত, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ৩৯ হাজারের বেশি জলমহাল থেকে ইজারাবাবদ প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হয় এবং এর থেকে আহরিত মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণি দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে। দেশের বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে জলমহালের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ
চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ইয়াঙ্গুনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এএসএম সায়েম ইয়াঙ্গুন রিজিয়ন সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী অং উইন থেইন-এর কাছে এসব ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাঠানো প্রায় ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ ৩ জুন চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে ৫ জুন বিকালে ইয়াঙ্গুনস্থ থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনা খাবার, তাঁবু, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের দুর্গত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
অতীতে ২০১৫ সালে মিয়ানমারে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য বিপুল পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে।
ত্রাণসামগ্রী গ্রহণের সময় অং উইন বাংলাদেশ সরকারের এই সময়োপযোগী মানবিক সাহায্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে এই সাহায্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র জরুরি ত্রাণ সহায়তায় আড়াই লাখ ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ-সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারি এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণসামগ্রী এবং চিকিৎসা দল প্রেরণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে পাঠানো এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের পক্ষে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ‘সমুদ্র জয়’ এবং সিট্যুয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী ২৩ রোহিঙ্গার খাদ্য সহায়তা বন্ধ করল ইউএনএইচসিআর
১ বছর আগে
সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে তাকে কেরাণীগঞ্জে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা ছাড়াও শনিবার শামসুজ্জামানকে শিশু নির্যাতন আইনে আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, শুক্রবার রাতে সাংবাদিক শামসুজ্জামান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ ছিলেন। শনিবার দুপুরে শামসুজ্জামানকে আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার জেল সুপার সুভাষ কুমার জানান, শনিবার বিকালে তিনি আমাদের কারাগারে এসে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা: ৬০ জনের লাশ হস্তান্তর
নেপালের কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৭২ জনের মধ্যে ৬০ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত: নেপালে জাতীয় শোক পালন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া আরও ১০টি লাশের মধ্যে ছয়টি শনাক্ত করা হয়েছে, শিগগিরই তাদের স্বজনদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করা হবে। বাকি চারজনকে এখনও শনাক্ত করা হয়নি।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) পশ্চিমে পোখারার রিসোর্ট শহরে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৭০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
উদ্ধারকারীরা এখনও সেই স্থানে দুটি লাশের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
টুইন ইঞ্জিনের এটিআর ৭২-৫০০ বিমানটি হিমালয়ের পাদদেশে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে আসার সময় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থলটি রানওয়ে থেকে প্রায় ১.৬ কিলোমিটার (১ মাইল) বা প্রায় ৮২০ মিটার (২৭০০ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত।
তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও বলেছে যে বিমানবন্দরের ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: নেপালের পার্লামেন্টের সামনে যুবকের আত্মহননের চেষ্টা
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
১ বছর আগে