বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি সংস্থাটি জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় রোহান পরিবহনের হেলপার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তাদের বাসটি দাউদকান্দি টোল প্লাজায় থামলে একটি প্রাইভেট কার থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাদের বাসে উঠতে চায়। কিন্তু পথের মাঝে কোনো যাত্রী তোলার নিয়ম না থাকায় ওই ব্যক্তিকে বাসে ওঠানো হয়নি। পরে ওই ব্যক্তি তার প্রাইভেট কার নিয়ে বাসটিকে অনুসরণ করতে থাকে এবং বার বার ওভারটেক করে বাসের সামনে গিয়ে বাস থামানোর ইশারা করতে থাকে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে প্রথমে কলারকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাথে কথা বলিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই কাশেম একটি টহল গাড়ি নিয়ে মদনপুর থেকে বাসটিকে এস্কর্ট করে এগিয়ে দিচ্ছিলেন।
এসময় প্রাইভেট কারটি অদৃশ্য হয়ে যায়। কিছুদূর এগিয়ে বন্দর থানাধীন কেউঢালায় পৌঁছালে প্রাইভেট কারটিকে রাস্তার একপাশে থেমে থাকতে দেখে বাসের হেলপার পুলিশকে তা অবগত করেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা ওই প্রাইভেট কার থেকে মামুন (২৬) এবং গাড়ির চালক জোবায়ের (৩০) নামে দুই জনকে আটক করেন।
আটক মামুনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ, ডেমরা ও রূপগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে ৩০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বাসটিকে ঢাকা মেট্রোর সীমানা পর্যন্ত এগিয়ে দেয় পুলিশ এস্কর্ট পেট্রোল টিম।
পরে বাসটি নিরাপদে বাগেরহাট পৌঁছেছে। আটকদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।