ঈদ যাত্রায় ভাড়া, গতি ও যাত্রী অতিরিক্ত হলে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালে, অতিরিক্ত যাত্রী নিলে এবং অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাৎক্ষণিক জরিমানা করতে হবে। কমপক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানা করতে হবে। এজন্য আলাদা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে কোনো বাজার থাকবে না। আর মহাসড়কে কোনোভাবেই কোনো থ্রি হুইলার চলবে না।’
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঈদযাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক গণশুনানি ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সচিব বলেন, “এবার মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলবে না। এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত গতির সড়ক। এখানে কোনো ছোট গাড়ি ঢুকবে না। আমরা কাউকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। আমাদের সবার দায়িত্ব তাদের বাঁচিয়ে রাখা। একসময় আসবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে ‘আপনি কেন ঠেকাননি’ এই বলে।”
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
এ ছাড়া যাত্রীদের কষ্ট লাঘবে তিনি ফরিদপুর-ভাটিয়াপাড়া রুটে বিআরটিসির লোকাল বাস চালুরও নির্দেশ দেন তিনি।
সড়কপথে চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত গতি, অতিরিক্ত ভাড়া নিলে, ফিটনেস না থাকলে, সড়কপথে চাঁদাবাজি হলে তথা যেকোনো অনিয়ম হলে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানাতে সবাইকে তিনি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না। জেলা প্রশাসকেরা বিষয়টি তদারকি করবেন। বাস মালিকেরা যেনো নিজেরা ভাড়া নির্ধারণ না করেন। এসি বাসের ভাড়া ঢাকা থেকে নির্ধারণ করা হবে। অনলাইনে সহজডটকম দ্বিগুণ ভাড়া নেয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কের পাশে রেকার ও অ্যাম্বুলেন্স রাখার নির্দেশ দেন সচিব।
তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্জন তিনটি অ্যাম্বুলেন্স সবসময় হাইওয়ের পাশে রাখবেন। এছাড়া সব হাসপাতালও চালু থাকবে। হাইওয়ের পাশে রেকার রাখতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা, অঙ্গহানি হলে ৩ লাখ টাকা ও গুরুতর আহতকে ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয় উল্লেখ করে বলেন, আমরা এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে তেমন আবেদন পাই না।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে দুর্ঘটনায় জড়িত পরিবহন মালিকের পক্ষ থেকে এই জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-বরিশাল ও ফরিদপুর-বেনাপোল মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। তখন যানজট কমে যাবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহিন আলম, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলমসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে পুলিশ: আইজিপি