রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম কবিরের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন এই রিট দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার অতিরিক্ত সচিব এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সাম অপারেশন্সের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান জানান, রিট আবেদনটির ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বর (২০২০) সেশনের ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই, আইজিসিএসই, ‘ও‘ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন অক্টোবর-নভেম্বর সেশনের পরীক্ষায় যুক্তরাজ্যের পরীক্ষা বোর্ড পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। পরীক্ষা ছাড়া কোনো ধরনের মূল্যায়ন হবে না। তবে, আর্ট ও ডিজাইন পরীক্ষা এর বাইরে থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী আছে, যারা অক্টোবর-নভেম্বরের পরীক্ষার জন্য জুলাই-আগস্টে রেজিস্ট্রেশন করেছে। সময়মতো এই পরীক্ষা দেয়া তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিলের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং বাংলাদেশ সরকারের কোভিড-১৯ প্রটোকলের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক পরিধান, পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব, পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়মিত পরিষ্কার, স্যানিটাইজেশনসহ ব্রিটিশ কাউন্সিলের সুরক্ষা প্রটোকলগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার সব পরীক্ষা কেন্দ্রে মানা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে গত ছয় মাস তাদের ক্লাস বন্ধ থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেনি। ও লেভেল এবং এ লেভেলের অনেক শিক্ষার্থী ১ অক্টোবর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য তাদের প্রবেশপত্রও নেয়নি। তাই পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে এই রিটে।