ব্রিটিশ কাউন্সিল
বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
বিশ্বায়নের এই যুগে ইংরেজি ভাষার ওপর আরও দক্ষতা বাড়াতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল সোমবার (১৯ জুন) ইউএনডিপি ঢাকা অফিসে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার মূল লক্ষ্য হলো স্থানীয় ও বৈশ্বিক চাকরির বাজারে তরুণদেরকে তৈরি করা।
এই চুক্তিটি 'ফিউচারনেশন' এর আওতায় বাস্তবায়ন হবে। ফিউচারনেশন দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সরকার, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। যেটি ইউএনডিপি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও গ্রামীণফোনের একটি যৌথ উদ্যোগ।
ইংরেজি যোগাযোগের বৈশ্বিক ভাষা হিসেবে পরিচিত।
কর্মসংস্থানের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অপরিহার্য।
ইংরেজি ভাষাশিক্ষা প্রদানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের রয়েছে ৪০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইউএনডিপি এর ফিউচারনেশন বাংলাদেশের তরুণদের কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ করবে।
এই যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্লোবাল সিটিজেনশিপ, প্রশিক্ষণ এর একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার চুক্তি স্বাক্ষর কালে বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইউএনডিপির এই যৌথ উদ্যোগ শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে পথচলার একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
উভয় পক্ষের শক্তি, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে সমন্বিত করে, আমরা আরও বড় ফলাফল নিয়ে আসতে পারব এবং কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারব বলে আমি আশা করি।
এই চুক্তির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, যৌথ ভাবে তরুণদের জন্য ব্যবহারিক ইংরেজি ভাষার ওপর কোর্স তৈরি করা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করা।
পাশাপাশি তরুণদেরকে জলবায়ু কার্যক্রম, ব্যবসা ও মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে সম্পৃক্ত করা এবং সমাজের উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারাভিযান করা।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, আমরা ইউএনডিপির ফিউচারেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। মানুষকে পরিবর্তন করার পেছনে শিক্ষার যে শক্তি তা কাজে লাগিয়ে আমরা সারাদেশে তরুণদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করব এবং তাদের উদ্যোক্তা বা চাকরির সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলব বলে আশা রাখি।
বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ইংরেজি, শিক্ষা এবং শিল্প সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং যোগাযোগ বাড়াতে ব্রিটিশ কাউন্সিল সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউএনডিপি এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের এই যৌথ উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও অনেক বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদান এবং মতবিনিময় করার সুযোগ তৈরি করবে।
সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একসাথে কাজ করে যাওয়াই দুই পক্ষের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে ইউএনডিপি’র ‘ক্লিক ফর ওয়াইল্ডলাইফ’ প্রচারাভিযান
তরুণদের অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে কাজ করবে ইউএনডিপি-গ্রামীণফোন
ব্রিটেনসহ মিত্র দেশের সহায়তা স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনসহ কয়েকটি মিত্র দেশের সহায়তার কারণে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে উঠেছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিল। কিন্তু ভারত, ব্রিটেন, রাশিয়াসহ কয়েকটি মিত্র দেশের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ আয়োজনে ‘দ্য ইউকে ১৯৭১: পিপল’স সলিডারিটি উইথ বাংলাদেশ’স লিবারেশন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা অভিযান শুরু করলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির প্রতিরোধ রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। ব্রিটেনে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমে পড়েন অনেক মানুষ। সংগঠিত হয় অনেক ধরনের উদ্যোগ। বার্মিংহামে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি’। ব্রিটেন-প্রবাসী বাঙালিদের সাথে যোগ দেন আরও অনেক ব্রিটিশ নাগরিক। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাড়িয়ে দেয় সহযোগিতার হাত।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় দীর্ঘদিনের অংশীদার। এ বছর ব্রিটেন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ৭০ বছর উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘লাইব্রেরি আনলিমিটেড’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রন্থাগারের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নেও কাজ করছে।
এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং সিবিই। প্রদর্শনী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রদর্শনীটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা
বঙ্গবন্ধু ও নেলসন ম্যান্ডেলা মহান দূরদর্শী নেতা: দ.আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নারীদের অভিবাসনে সামাজিক খরচ বেশি
নারীদের অভিবাসনের সামাজিক খরচ অনেক বেশি,কারণ তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য বিদেশে গেলে তাদের পরিবার ও সন্তানদের রেখে যায় বলে মন্তব্য করেছেন একটি পরামর্শ অনুষ্ঠানে বক্তারা।
বৃহস্পতিবার রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ) এর আয়োজিত ‘মাইগ্রেশন থ্রো জেন্ডার লেন্স: রোল অফ মিডিয়া’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
তারা বলেন, নারী অভিবাসী শ্রমিকদের শিশুরা নিরাপত্তাহীনতা এবং একাকীত্ব সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ও অভিবাসন ইস্যুতে সক্রিয় সহায়তা চায় ঢাকা
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের অবদান সম্পর্কে মানুষকে সংবেদনশীল করা গুরুত্বপূর্ণ।
নারী অভিবাসী শ্রমিকদের যে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হয় সে ব্যাপারে তাদের পরিবারের যথাযথ সহায়তা সহ একটি সুপারিশ করেছেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরএমএমআরইউ -এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী ও আইবিপি এর সিনিয়র ম্যানেজার এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রকাশের লিঙ্গ ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি উপদেষ্টা শিরিন লিরা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
বক্তারা জলবায়ু অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই।
এসময় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থানচ্যুতি সম্পর্কিত লিঙ্গ বিশ্লেষণ’ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এসময় তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে জলবায়ু-সংক্রান্ত কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা
সোমবার শুরু হচ্ছে ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা
দেশে ইংরেজি মাধ্যম ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে। এদিকে, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা।
রিট খারিজ, ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা নিতে বাধা নেই
‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আগামী ১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়নের আবেদন জানানো হয়েছে।
তরুণ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সুযোগ
‘ফিউচার নিউজ ওয়ার্ল্ডওয়াইড ২০২০’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে।