পাচারকারী তিন সদস্য হলেন- উপজেলার কাপড় চতলী এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম রুবেল (২৫), ফজলুল হকের ছেলে নূরুল হক (২৯) এবং ডিমাতলী এলাকার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহাম্মেদ রনি (৩২)।
এছাড়া উদ্ধার হওয়া তিন রোহিঙ্গা হলেন-বালুখালী পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এক রোহিঙ্গা তরুণী, ট্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মো. জাহেদ হোসেন (২৫) এবং উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সি/৩ এর মো. হাকিম শরিফের ছেলে মো. রফিক (৩৭)
সোমবার কুমিল্লার র্যাব ১১-সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব একথা জানান।
তিনি জানান, চৌদ্দগ্রামের ধরকড়া বাজার এবং চিওড়া এলাকায় বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্মসনদ, কাগজপত্র, এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়। যা ওই পাচারকারী চক্র তৈরি করে তার মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রস্তুত করে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল।
তিনি আরও বলেন, মানব পাচারকারীরা দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আসে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে তাদেরকে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছে।