বুধবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেনকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এসময় বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত।
তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে কোভিড- ১৯ মহামারি মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ গৃহীত কার্যক্রম, সরকারের পরিকল্পনা, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কোভিড -১৯ পরবর্তী তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ন্যাশনাল রোডম্যাপ তৈরির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এ পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে চললে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য সরবরাহ, ইন্টার্নেট কানেক্টিভিটি ও ঘরে বসেই বিনোদন এ সকল বিষয় কিভাবে চলমান রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা কার্যক্রম শুরু করি।
তিনি আরও জানান, প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই নাগরিকদের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনীয় পরামর্শ, করোনা সম্পর্কিত সকল সেবার হালনাগাদ তথ্যের জন্য করোনা পোর্টাল (www.corona.gov.bd) চালু করি। আমরা করোনা বিষয়ক তথ্য সেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা, সেলফ করোনা টেস্টিংসহ অনেকগুলো নতুন সেবা যুক্ত করি হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে। করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্র্যাসিং অ্যাপ,‘ভলান্টিয়ার ডক্টরস পুল ,বিডি’ অ্যাপ সেল্ফ টেস্টিং টুল,প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার,ডিজিটাল ক্লাসরুম,ফুড ফর নেশন ও এডুকেশন ফর নেশনসহ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম চালু করি। তিনি দেশের আইসিটি খাতেল সর্বশেষ অগ্রগতি রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সুপরামর্শে বিগত ১১ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন অবকাঠামো দিয়ে তৈরি করার কারণে এসকল কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন বাংলাদেশের আইসিটি খাত পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।