আইটি খাতের দক্ষতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে রাশিয়ান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফশোর ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে তার দপ্তরে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে তারা দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সি ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন (আইডিটিপি) ব্যবস্থার প্রবর্তন, রাশিয়ান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো রোবটিকস্, ব্লকচেইন, মেশিন লার্নিং, এআই, এআর, ভিআর ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবসা ও বিনিয়োগ, রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য হাই-টেক পার্কে জমি বরাদ্দ, উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে উদ্যোক্তা উন্নয়ন টেকসই স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ-রাশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন, ডিসেম্বরে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সামিটে রাশিয়ান আইটি কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণ, এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রস্তাব রাখেন।
আরও পড়ুন:‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
রুশ রাষ্ট্রদূত এসকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রসংশা করেন।
তিনি বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে।
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ও দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এসময় অন্যান্যোর মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার থার্ড সেক্রেটারি এনথন ভারিসেনসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:গণহত্যার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ