প্রতিষ্ঠার পর ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসা স্মার্টফোনগুলোতে সর্বশেষ ফিচার এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন সরবরাহ করে আসছে রিয়েলমি।
তরুণ গ্রাহকদের ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি সবসময় তাদের স্মার্টফোন ও এআইওটি ডিভাইসগুলোতে দিকে নজর দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
এ লক্ষ্যে রিয়েলমি সহজাতভাবে ‘১+৪+এন’ কৌশল অনুসরণ করে চলেছে। এতে মূল পণ্য হিসেবে একটি স্মার্টফোনকে কেন্দ্র করে এবং চারটি ধাপে অসংখ্য নতুন এআইওটি ডিভাইসের ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে। এসব এআইওটি পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শ্রবণযোগ্য এবং পরিধানযোগ্য ডিভাইস রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে ‘সবচেয়ে জনপ্রিয়’ স্মার্টফোন রিয়েলমি ৫ আই
ভারতের ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও (টিডব্লিউএস) শিল্পে প্রবেশের পরে এক মাসের মধ্যে পঞ্চম স্থানে উঠে আসে রিয়েলমি। এর পরের তিন মাসের মধ্যে ভারতের বাজারে তৃতীয় স্থানে এবং অর্ধবছরের মধ্যে শীর্ষ ব্রান্ড হয়ে উঠে।
রিয়েলমি ব্র্যান্ড বিশ্বের ৬১টি বাজার এবং অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। বছরের শুরুর তুলনা ব্র্যান্ডটি প্রায় ২৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং লাতিন আমেরিকা এবং পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপের মূল বাজারগুলোতে প্রবেশ করেছে।
প্রযুক্তিগত পণ্যে চলতি প্রবণতা এবং গ্রাহকদেরকে অতুলনীয় ডিজাইনের অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য রিয়েলমি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের সাথে নেয়। জাপানের বিখ্যাত ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়া, জোসে লেভি ও গ্রাফ্লেক্সের সাথে চুক্তি করে। এর স্বীকৃতি হিসেবে ডিজাইনের জন্য এরই মধ্যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নিয়েছে রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: দারাজে দুই মিনিটেই বিক্রি ২ হাজার ‘রিয়েলমি নারজো ২০’
বিশ্বব্যাপী মহামারির কারণে প্রযুক্তির বাজার বিপুল ধাক্কা খেয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তবে, প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে রিয়েলমির শেয়ার আকাশ ছোঁয়া এবং ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের একমাত্র ব্র্যান্ড হিসেবে দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই বছর আরও নতুন নতুন লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনা করছে ব্র্যান্ডটি।
২০২১ সালে অধিকতর গবেষণা ও পণ্যের মান উন্নত করে টিডব্লিউএস, স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট টিভি জাতীয় ব্যক্তিগত, পরিবারিক এবং ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো আসছে গেমিং মাস্টার রিয়েলমি নারজো ২০
সেই সাথে এআইওটি বাজারের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠার দিকে নজর দিয়েছে রিয়েলমি।
মিউজিক, স্পোর্টস, ভিডিও এবং ই-স্পোর্টসের মতো বিভিন্ন ট্রেন্ডিং ক্ষেত্রের জন্য প্রচুর পরিমাণে এআইওটি পণ্য নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এছাড়াও, রিয়েলমি ৫-জি ইকোসিস্টেম, অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য ৫-জি সম্পর্কিত উদ্ভাবনের সহযোগিতা করতে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলে এল রিয়েলমির ডিজাইনার টয় রিয়েলমিয়াও
বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার বিষয়ে বলতে গিয়ে রিয়েলমির সিইও স্কাই লি বলেন, সদ্য বিদায় নেয়া ২০২০ সালটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও বাধা পূর্ণ ছিল। তারপরও, দক্ষতার সাথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা চালুর মধ্যদিয়ে আমরা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে পেরেছি। যা তরুণদের আরও বেশি প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রিভিউ: প্রতিযোগীদের ভিড়ে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন রিয়েলমি ৫ আই
তিনি বলেন, ‘তরুণদেরকে আরও বেশি স্মার্ট এবং ট্রেন্ডসেটেটিং জীবন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে আমরা ২০২১ সালে স্মার্টফোন+এআইওটি নিয়ে আমাদের চলমান দ্বৈত প্রচেষ্ঠার কৌশল অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব জুড়ে থাকা ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে আরও বেশি ৫-জি প্রযুক্তির পণ্য তৈরির উপর জোর দেব।
বাংলাদেশের বাজারে রিয়েলমি
রিয়েলমি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের মতে, বাজারে আসার পর থেকে এর অনলাইন ভিত্তিক কার্যকর কৌশলের কারণে ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৫৫ শতাংশ কোয়ার্টার-অন-কোয়ার্টার প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
রিয়েলমি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর এক বছরেরও কম সময়ে কাউন্টার পয়েন্টের তথ্যমতে দেশের শীর্ষ চার মোবাইল ব্র্যান্ডের একটিতে পরিণত হয়েছে রিয়েলমি। এরইমধ্যে দেশের তরুণদের সেরা পছন্দের ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও পেয়েছে।