প্যাট্রিক ভাল্যান্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: সোমবার থেকে যুক্তরাজ্যে সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, ভাইরাসটির আসল ধরনে আক্রান্ত ৬০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে গড় ঝুঁকি হলো যে সংক্রমিত ১০০০ মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ জন দুর্ভাগ্যক্রমে মারা যেতে পারেন।
‘তবে নতুন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত ১০০০ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ বা ১৪ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে,’ বলেন তিনি।
তবে ভাল্যান্স জোর দিয়ে বলেছেন যে ‘এ সংক্রান্ত যে প্রমাণ রয়েছে তা এখনও শক্তিশালী নয়’ এবং এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
তিনি আরও বলেন, মূল করোনাভাইরাস জাতের তুলনায় নতুন ধরনটি আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য। ‘এটি ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে।’
নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ও তীব্রতা দেখার জন্য গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকভ।
এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া নতুন করোনার ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কি মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে?
এদিকে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২১ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার অতিক্রম করেছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ লাখ ৫ হাজার ৫৬ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৩৯৪ জনে।
আরও পড়ুন: ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ১৩ হাজার ৯২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
আরও পড়ুন: করোনার সনদ পেতে বৃহত্তর কুমিল্লার ৬ জেলার মানুষের ভোগান্তি
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩২ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৭ লাখ ৫৩ হাজারের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ২৪৩ জনের।
আরও পড়ুন: ইবিতে করোনায় মিলছে না চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা