দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃক তৈরি টিকা ব্যবহারের জন্য বুধবার দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) অনুমোদন দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আগেই বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ভূমিকা নেবে। কারণ, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার তুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রদান অনেক বেশি সহজ হবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ কার্যকর
যুক্তরাজ্য সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ১০ কোটি ডোজের আগাম অর্ডার করে রেখেছে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই এটি প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে।
দেশটিতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের তৈরি টিকা কয়েক লাখ মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাস্কাল সরিওট বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের কয়েক মিলিয়ন লোক যারা এ নতুন টিকাটি ব্যবহার করতে পারবেন তাদের জন্য আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি: যুক্তরাজ্যে একরাতে ৫০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত
দ. কোরিয়ায় নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
যুক্তরাজ্যে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু
ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ২৪ হাজার ব্যক্তির ওপর গবেষণার আংশিক ফলাফল থেকে দেখা গেছে যে এর প্রয়োগ নিরাপদ এবং কোরানাভাইরাস সংক্রমণ থেকে অসুস্থতা রোধে প্রায় ৭০ শতাংশ কার্যকর।
সরিওট সম্প্রতি সানডে টাইমস পত্রিকায় বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে এ টিকা এর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতো কার্যকর প্রমাণিত করবে।
করোনাভাইরাস টিকাগুলো সাধারণত দুটি মাত্রায় দেয়া হয়, প্রাথমিক প্রয়োগ এবং তারপরে প্রায় তিন সপ্তাহ পরে আরেকটি ডোজ দেয়া হয়।
এদিকে, কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে ব্রিটেনে এক রাতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার সরকারিভাবে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী মহামারি আরও ভয়াবহ হতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
যুক্তরাজ্য থেকে আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক: মন্ত্রিসভা
দেশটিতে আরও ৫৩ হাজার ১৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
সরকারিভাবে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৫ জনে। আরও ৪১৪ জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা পৌঁছেছে ৭১ হাজার ৫৬৭ জনে।
এছাড়া, ইউরোপের আরেক দেশ পর্তুগালে আরও ৩ হাজার ৩৩৬ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্ত পৌঁছেছে ৪ লাখ ২ জনে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এক দিনে দেশটিতে আরও ৭৪ জন মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৫১ জনে।