স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটি ডোজ একই ভ্যাকসিনের হওয়া উচিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যেসব ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সেগুলোর দুটি ডোজ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিতরণ করা হচ্ছে ফাইজার এবং মর্ডানার ভ্যাকসিন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনগুলো মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহারযোগ্য নয়।
ইংল্যান্ডে দেয়া হচ্ছে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যকসিন। এই ভ্যাকসিনগুলোও সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পাকিস্তানে চীনের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু
তবে কোনো কারণে যদি একই ধরনের ভ্যাকসিন উপলভ্য না থাকে বা প্রথম ডোজে কোনটি দেয়া হয়েছিল তা যদি জানা না থাকে, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের জন্য যে কোনো ভ্যাকসিন দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বৃটিশ কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, যেহেতু ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দুটি একইভাবে কাজ করে, তাই আংশিক সুরক্ষার চেয়ে একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ ডোজ নেয়া ভালো।
চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন দিয়ে তুরস্কে শুরু গণ টিকাদান
তবে কোনো গবেষণা ছাড়াই ভ্যাকসিনের ডোজগুলো মিশ্রিত করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ নাওর বার-জিভ।
তিনি জানান, কেউ যদি দুর্ঘটনাক্রমে দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভিন্ন একটি ভ্যাকসিন নিয়ে বসেন, তবে এটি ‘ভালো কাজ করে থাকতে পারে’।
কিন্তু গবেষণার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া দরকার।
ফাইজারের পর মর্ডানার ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দিল ইউরোপীয় কমিশন
এদিকে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২০ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা অতিক্রম করেছে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার।
শুক্রবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ১৮৮ জনে।
দ্রুতই দিনে ১০ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র: ফাউসি
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৪৬ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ৯ হাজার ৮৭৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মেক্সিকোতে জরুরি ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে অনুমোদন
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।