একুশে পদক বিজয়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকেরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। গত বছরের ২৭ নভেম্বর ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার মাঝে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
আলী যাকেরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তার ঘটনাবহুল জীবন ও কাজকে স্মরণ করার জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
চট্টগ্রামে ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা আলী যাকের ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি অভিনয় শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন এবং মঞ্চ, টেলিভিশন ও রুপালি পর্দায় বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে অভিনয় করে পরিণত হন অন্যতম সফল অভিনেতায়।
তিনি ১৯৭২ সালে আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে নাট্যাভিনেতা হিসেবে গৌরবময় ক্যারিয়ারের সূচনা করেন। তিনি ওই বছরে দলটির সাথে মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকে অভিনয় করেন। একই বছরে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে যোগ দেন এবং শেষ দিন পর্যন্ত এদের সাথে জড়িত ছিলেন।
পড়ুন: বড় পর্দায় তাহসান-বাঁধন জুটির ‘অ্যা ব্লেসড ম্যান’
আলী যাকের তার নাটকের দলের হয়ে ২০১৯ পর্যন্ত ১৫ নাটকে নির্দেশনা এবং ৩১টিতে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে কয়েকটি হলো- কোপেনিকের ক্যাপ্টেন, গ্যালিলিও, নূরলদীনের সারাজীবন, ম্যাকবেথ, অচলায়তন ও দেওয়ান গাজীর কিস্সা।
নূরলদীন, গ্যালিলিও ও দেওয়ান গাজীর ভূমিকায় আলী যাকেরের অভিনয় সমালোচক ও নাটকপ্রেমীদের কাছ থেকে বয়ে আনে বিশাল প্রশংসা। তিনি আজ রবিবার ও বহুব্রীহি টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেও বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।
বরেণ্য এ নাট্যজন শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকে ভূষিত হন। সেই সাথে তিনি তার বর্ণাঢ্য জীবনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক ও নরেন বিশ্বাস পদকসহ নানা সম্মাননা লাভ করেছেন।
পড়ুন: শিখদের ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসী’ বলায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর