গত ২৯ মার্চ মুক্তির পর থেকেই দর্শক সহ সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলিউড মুভি ক্রু। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করা তিন প্রজন্মের তিন নায়িকা টাবু, কারিনা ও কৃতি চলচ্চিত্রের মূল আকর্ষণ। শুধু তাই নয়, হৈচৈ-এর ব্যপ্তি সম্প্রসারিত হয়েছে নারীপ্রধান হিন্দি ছবির জগতে এর যুগান্তকারী ভূমিকা পর্যন্ত। তবে অভিনয়, চিত্রনাট্য, ও নির্মাণের বিচারে ছবিটি কতটুকু উতড়ে যেতে পেরেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্রু মুভির কলাকুশলীরা
নিধি মেহরা ও মেহুল সুরির চিত্রনাট্যে রম্য চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন রাজেশ এ কৃষ্ণান। টাবু, কারিনা কাপুর খান, ও কৃতি স্যানন ছাড়াও ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, রাজেশ শর্মা, কুলভূষণ খারবান্দা, এবং কলকাতার অভিনেতা শাশ্বত চ্যাটার্জি। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান ও টিভি উপস্থাপক কপিল শর্মাকে।
সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, বাদশা, রাজ রঞ্জোধ, বিশাল মিশ্র, অক্ষয়-আইপি, ভার্গ-রোহিত। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর কম্পজিশনের দায়িত্বে ছিলেন জন স্টুয়ার্ট এদুরি।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
সিনেমাটোগ্রাফিতে কাজ করেছেন অনুজ রাকেশ ধাওয়ান। চলচ্চিত্রের সার্বিক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন মনন সাগর।
ক্রু-এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বালাজি মোশন পিকচার্স এবং অনিল কাপুর ফিল্মস অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন একতা কাপুর, রিয়া কাপুর, অনিল কাপুর এবং দিগ্বিজয় পুরোহিত।
ক্রু চলচ্চিত্রের কাহিনী
গল্পটি গীতা শেঠি, জেসমিন কোহলি, এবং দিব্যা রানা নামের তিন বিমানবালাকে নিয়ে। দেউলিয়াপ্রায় কোহিনূর এয়ারলাইন্সে তাদের ছয় মাসের বেতন বাকি।
গীতাকে তার নিজের সংসারসহ তার ছোট ভাইয়ের পরিবারেও আর্থিক সাহায্য দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর জেসমিন বড় হয়েছেন নানা-নানীর কাছে। তাই পারিবারিক সম্পর্কের প্রতি তার ভীষণ বিতৃষ্ণা। তবে বিলাস জীবন-যাপনের প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ।
আর দিব্যার পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে যেয়ে অনেক ঋণ জমে যায়। কিন্তু যথেষ্ট সুযোগের অভাবে তার ভাগ্যে শেষমেষ বিমানবালার চাকরি মেলে। অবশ্য বাড়ি ফেরার সময় বিমানবালার পোশাক বদলে পাইলটের পোশাক পরে পরিবারের সামনে হাজির হন। এভাবে একদিকে পরিবারকে ফাঁকি দেন, আর অন্যদিকে টেনে চলেন সেই ঋণের বোঝা।
এমন আর্থিক সংকটে তিন জনেরই টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্যে কোহিনূর এয়ারলাইন্সের মালিক বিজয় ওয়ালিয়া সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এতদিন ধরে সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবে যে স্বপ্ন তারা বুকে লালন করে আসছিল, তার সব গুড়েবালি হয়ে যায়।
ঠিক এমনি সময় তাদের কাছে সুযোগ আসে স্বর্ণ চোরাচালানের। এই সুযোগের সদ্ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা, আর সিনেমার কাহিনীতে যুক্ত হতে থাকে বিচিত্র স্তর।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘরে ফিরতে অনলাইনে প্লেন, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়