২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
বিভিন্ন সংস্থা প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তারেক ও মিশুকের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসলেও, চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে এ বছর তা স্থগিত করতে হয়েছে। তবে ভার্চুয়াল ইভেন্টের নিউ নর্মালে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ বছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।
তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি যৌথভাবে দুই দিনের একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছে যা বুধবার এক অনলাইন আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়।
মুক্তির গান, মাটির ময়না, আদম সুরত, রানওয়েসহ সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন তারেক মাসুদ।
এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন সবার বড়।
শৈশবে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেন তারেক মাসুদ। তারপর তিনি ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে ঢাকায় চলে যান। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন।