ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উৎসব আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে।
ঢাবি এলাকায় সকাল থেকেই ছাত্রছাত্রী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বর্ণিল পাঞ্জাবি ও শাড়ি পরে জড়ো হতে শুরু করে। কাছেই বাংলা একাডেমিতে প্রতি বছরের মতো এবারও বই মেলা হচ্ছে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উদযাপনের জন্য ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসারা বই মেলাতেও ঢু মারে।
বকুল তলায় ঢাবির চারুকলা অনুষদের বসন্ত উৎসব উদযাপন কমিটির বিশাল আয়োজনের পাশাপাশি ঢাবি এলাকায় ঐতিহাসিক বটতলায় 'সমগীত বসন্ত উৎসব', রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের মতো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঋতু রাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে ঢাবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ‘সঙ্গীত উৎসব’ এর আয়োজন করে।
বিশেষ দিনটি উপলক্ষে দর্শনার্থীদের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পাস এলাকার প্রায় সর্বত্র ফুল ও খাবারের ভ্রাম্যমাণ দোকান ছিল।
এছাড়া ফুলের দোকানগুলোতে লাল গোলাপ শোভা পাচ্ছিল।
ক্যাম্পাসের ব্যস্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করা এগারো বছরের ছেলে আবিদ জানায়, সকালে রাজধানীর মৌচাক থেকে এই এলাকায় আসে ভালো লাভের আশায়।
সে বলে, বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ এখানে দিবসটি পালন করতে এসেছে। তাই আমার মা আমাকে এখানে ফুল বিক্রি করতে পাঠিয়েছেন।
এছাড়া অনেকেই আমার কাছ থেকে ফুল কিনেছে। সকাল থেকে আমি প্রায় ৮০০ টাকার ফুল বিক্রি করেছি।
প্রিয়জনের সঙ্গে দিনটি উদযাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকাদের জন্য গোলাপ ও তোড়ার বিশাল মজুদ নিয়ে ফুল বিক্রেতারাও এই দিবেসের অপেক্ষায় থাকেন।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ১০ মডেল
এদিকে শাহাবাগ মোড়ের ফুলের দোকানগুলোতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভিড়।
অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দীর মুক্তমঞ্চে পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের অন্যতম স্থান নির্ধারণ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পহেলা ফাল্গুন পালন করতে আসা মানুষদের মধ্যে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ একটি বাড়তি উৎসবের মেজাজ যোগ করেছে।
ফলে শুধু বইমেলায় আসা অধিকাংশ দর্শনার্থী পহেলা ফাল্গুনের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।