নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ (রবিবার)।
তার চলে যাওয়াই যে শেষ নয় এর প্রমাণ হিসেবে তার পরিবার ও ভক্তরা দিনকে বিশেষভাবে পালন করে আসছে প্রতি বছর। তবে গত দুই বছর মহামারি করোনার কারণে বড় পরিসরে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার আর তা হচ্ছে না।
হুমায়ূন আহেমেদের জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আজ থাকবে দিনব্যাপী হুমায়ূন মেলা। চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে মেলার উন্মুক্ত মঞ্চ থেকে পরিবেশিত হবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা এবং পছন্দের চলচ্চিত্র ও নাটকের গান। প্রবীণ শিল্পীদের পাশাপাশি গানগুলো পরিবেশন করবেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজ ও বাংলার গানের শিল্পীরা। আরও থাকবে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়েদের নাচ। থাকবে কবিতা আবৃত্তি ও স্মৃতিকথা।
অন্যদিকে হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা নুহাশ পল্লীতে দিনকে পালন করতে শনিবার (১২ নভেম্বর) থেকে সেখানে অবস্থান করছেন লেখকের স্ত্রী-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। কেক কাটা ও রাতে এক হাজার চুয়াত্তরটি মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয় সেখানে।
আরও পড়ুন: নানা আয়োজনে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন
সকাল ১১টায় হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। পরবর্তীতে দোয়া শেষে নুহাশ পল্লীর হোয়াইট হাউসের সামনে জন্মদিনের কেক কাটা হবে।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়।
১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০),লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪),বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ