গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে জেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর আমের বাগানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, ফলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যা ঠিকমতো করতে পারেন নি।
এছাড়াও আমের সাধারণ রং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং আমে কালো দাগ দেখা যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আম কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় কৃষকদের কম দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষক তাদের ফসলের জমিকে আমের আবাদে পরিণত করায় জেলায় আম্রপালি জাতসহ বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায়।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাগানের সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেননি বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
এছাড়াও মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে তারা ট্রাক ভাড়া করে ঢাকায় আম পাঠানোর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের আম চাষি তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমের দাম কমে যাওয়ায় এবার তার লোকসান গুণতে হচ্ছে।’
একই উপজেলার বনবাড়ি গ্রামের চাষি ইমাম হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ৫০ বিঘা আম বাগানে পানি উঠেছে, আম নষ্ট হওয়ার আশংকায় কলাগাছের ভেলা বানিয়ে আম সংগ্রহ করছি।’
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে আমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন বলেন, ‘এ বছর জেলায় ২ হাজার ৮৪০ হেক্টরে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। আমের ফলন এবার ভালো হওয়ায় প্রায় ৪৪ হাজার মেট্রিক টন ফলন হতে পারে।’
জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সম্পর্কে এই কর্মকর্তা বলেন, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে জমি থেকে বৃষ্টির পানি সরে যেতে পারে।