চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে ৩ হাজার ৮০৭টি জাহাজ। ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ৩ হাজার ৭২৮টি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক ইউএনবিকে বলেন, ‘করোনার কারণে এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন ছিল। বন্ধ ছিল প্রায় সব ধরনের কাজ। তাই পণ্য আমদানি কম হয়েছে বলে জাহাজও কম ভিড়েছে। এরপরও এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে মজুদকৃত বিপজ্জনক সেই রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হবে ছাতকে
চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর ভূমি উদ্ধার
তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ টন কার্গো (পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে বন্দরে। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৯ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৫ টন।
জানা গেছে, সমুদ্রপথে কন্টেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। কন্টেইনার ওঠানামায় ১২টি জেটির ব্যবহার হয়।
স্বাভাবিক সময়ে বন্দরের বহির্নোঙর থেকে জেটিতে ভিড়তে প্রতিদিন গড়ে অপেক্ষায় থাকে ২০ থেকে ৩০টি জাহাজ। তার মধ্যে প্রতিদিন জেটিতে খালাস হয় আট থেকে দশটি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ দিন পর জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
নৌযান ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে অচল অবস্থা
এর আগে সাগরপথে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় বিশ্বের থ্রি মিলিয়নেয়ার পোর্টস লিস্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নাম বাদ পড়তে যাচ্ছে বলে জানান বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম।
এই তালিকায় থাকে বিশ্বের সেসব বন্দরের নাম, যেগুলোয় বছরে ৩০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিটস) কন্টেইনার ওঠানামা করে। ২০১৯ সালে তাতে স্থান পেয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বে এমন সমুদ্র বন্দর ছিল ৬০টি।
এনামুল করিম বলেন, করোনার কারণে বছরজুড়ে আমদানি-রপ্তানি কমে গিয়েছিল। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউ কন্টেইনার ওঠানামা করে। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কন্টেইনার ওঠানামা কমেছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১০ টিইইউ।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর: বক্তারা
বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যেসব দেশে পণ্য রপ্তানি হয়, সেসব দেশে এখনও করোনার প্রকোপ বেশি। নতুন করে ইউরোপের অনেক দেশে লকডাউন দেয়া হয়েছে, যার সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে।’