খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অনলাইন হাটে এখন পর্যন্ত ১০৯টি পশু বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ ১ কোটি ৯১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ৭৬টি গরু ও ৩৩টি ছাগল। অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনার জন্য প্রতিদিনই পশুর ছবিসহ বর্ণনা আপলোড করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭৫৫টি গরুর ছবি আপলোড করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কুরবানির পশু বিক্রির জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে কুরবানি হাট খুলনা নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়। গত ৮ জুলাই অ্যাপটির উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালকুার আব্দুল খালেক। প্রযুক্তিনির্ভর এ সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। অ্যাপের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে পশুর ছবি, দামসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল জানান, অ্যাপটির মাধ্যমে ক্রেতারা খামারের সন্ধান পাচ্ছেন। আর খামারিরা ঘরে বসেই ক্রেতার। যেহেতু খামার থেকেই সরাসরি পশু বিক্রি হচ্ছে তাই ক্রেতা এ ক্ষেত্রে হাসিল না দেয়ার সুবিধা পাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন জানান, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কেনাবেচা সক্রিয় রাখার সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। হাসিল আায়ের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ দিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৮০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী ঈদের দিন কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কারে মাঠে থাকবেন। তাদের মধ্যে ৭০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ১০০ ময়লা বহনকারীর গাড়ির চালক। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তারা নগরীর সব বর্জ্য পরিষ্কার করবেন।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আ. আজিজ জানান, ওই দিন সকাল থেকে তাদের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে গত বছর ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে নগরীর কুরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করার রেকর্ড রয়েছে কেসিসির। তখন প্রায় ১৫ টন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ করা হয়। তবে এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কাজের ধরনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে কাজের গতি বেশি থাকবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
এবার ৩১ ওয়ার্ডে কুরবানি পশু জবাইয়ের জন্য ১৪০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানে কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োজিত থাকবে এবং তারা বর্জ্য সংগ্রহ করবেন। এছাড়া ওয়ার্ডের নির্ধারিত স্থানের বাইরেও যদি কেউ পশু জবাই করে তবে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সেখান থেকেও বর্জ্য সংগ্রহ করবে বলে তিনি জানান।