চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়ার দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে দর নিয়ে হতাশ চাষি ও ব্যবসায়ীরা। সব ধরনের আমের দাম গত মৌসুমের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। পাইকারি বাজার এমন থাকলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আঁটি, গুটি ও বোম্বাইয়ের পর চুয়াডাঙ্গার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হিমসাগর আমও।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের তৈরি করা ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, গত ১৪ মে থেকে জেলায় আম সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে এক সপ্তাহ ধরে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম বেচাকেনা আশানুরূপ ছিল না। আবার এর মধ্যেই দ্বিতীয় পর্যায়ে ২২ মে থেকে হিমসাগর আম সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। বাজারে নতুন আমের আমদানি প্রচুর কিন্তু চাহিদা একেবারেই কম।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সেখানে ২৮ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর চলতি মৌসুমে এ জেলার দুই হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমির আমের বাগানে আম চাষ হয়েছে। ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রপালি ও বারি-৩, ২১ জুন ফজলি ও ১ জুলাই আশ্বিনা ও বারি-৪ আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা হবে।
উল্লেখ্য, জেলার আমের সবচেয়ে বড় মোকাম চুয়াডাঙ্গা শহরের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বড়বাজার ফলপট্টিতে। প্রতিদিন ভোর থেকেই আম আমদানি ও বেচাকেনা শুরু হয় এখানে। বর্তমানে বাজারে চার ধরনের আম বাজারজাত হচ্ছে, এর মধ্যে বোম্বাই ও হিমসাগর আমের চাহিদাই বেশি। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় আমের দাম এবার কম।