খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের ৪১টি প্যাকেজের মধ্যে এখনও টেন্ডার হয়নি ৯টি প্যাকেজের। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, খুব দ্রুত এগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।
জানা যায়, ১৯১২ সালে ভৈরব নদীর তীরের নগরীর জেলখানা ঘাট এলাকায় স্থাপন করা হয় খুলনা জেলা কারাগার। ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৬০৮ জনের হলেও বছর জুড়েই কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ বন্দি থাকে।
সামাজিক আন্দোলন এবং প্রয়োজনের তাগিদে রূপসা বাইপাস সড়কে ‘খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের’ কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রায় ৩০ একর জমিতে ২৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে কারাগারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনাকে মডেল বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তবে জমি অধিগ্রহণ, নকশা জটিলতা, বালু ভরাটসহ নানা কাজের জন্য প্রকল্পে বিলম্ব হয়। কারাগারের ৪১টি প্যাকেজের মধ্যে ৩২টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি কাজ দৃশ্যমান। বাকি ৯টি প্যাকেজের টেন্ডারও শিগগিরই হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে আগামী বছরের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা থাকলেও, করোনার প্রভাব এবং ঠিকাদাররা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে না পারায় সময় আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদে যে প্যাকেজগুলো দ্রুত টেন্ডারে যাচ্ছে সেগুলো হএলা- কারাগারের অভ্যন্তরে হাসপাতাল, তিনশ’জন ওয়ার্ডের ব্যারাক-২, সেন্ট্রি বক্স, গ্যারেজ, স্কুল, রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং, সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি), বহিস্থ পানি সরবরাহ, সারফেস ড্রেন উইথ কালভার্ট, এক্সটারনাল ইলেকট্রিফিকেশন, সোলার সিস্টেম, আরবরিকালচার এবং সয়েল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল টেস্ট।
আরও পড়ুন: খুলনার মুজগুন্নি মহাসড়কের বেহাল দশা
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ-২ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দীন খান বলেন, ‘কয়েকটি প্যাকেজের মূল্য সংশোধিত হওয়ার কারণে দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এছাড়া করোনার কারণেও স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়েছে।’
খুব শিগগিরই দরপত্র আহ্বানসহ প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।