আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ফরিদপুর জেলার ছোট-বড় পশু খামারিরা ৫০ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করেছে। খামারিরা এখন শেষ মুহূর্তে তাদের পশুকে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার নয় উপজেলায় ছোট-বড় ৫ হাজার ১২০ জন খামারি রয়েছে। এর মধ্যে পদ্মার চারঞ্চলের খামারিই বেশি । এই খামারিরা আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অর্ধলক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করেছে। যা নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা এলাকার বড় খামারি ‘সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদি’ খামারের মালিক সৈয়দ জহুরুল আলম জানান, তার খামারের ৬০টি বড় ও মাঝারি আকারের গরু রয়েছে। তারা উন্নত জাতের অল্প বয়সী গরু কিনে কোরবানির বাজারের জন্য বড় করে তৈরি করেছেন।
এই খামারি জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় ভিটামিনযুক্ত খাবার কাঁচা ঘাস, খড় এবং দানাদার খাবার, খইল, ভুসি ও চালের গুড়া খাইয়ে পশু মোটা তাজা করা হয়েছে। আর এসব খামারে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেকের।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে দুধ নিয়ে বিপাকে খামারিরা
একই এলাকার ‘তাহেরা এগ্রোর’ মালিক আবরার নওশের বলেন, ‘আমার খামারে ৫০টি বড় আকারের গরু কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা সারা বছর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে পশুগুলোকে উপযুক্ত করেছি, আশা করছি ভালো দামও পাব।’
ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে এবারে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আমরা অনলাইনে ও লাইভ ওয়েটে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। খামারিরা তাদের গরুর ছবি, ওজন ও মূল্য নির্ধারণ করে পেজে পোস্ট দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় গরুর ক্ষুরারোগে দুশ্চিন্তায় খামারিরা, ১৫ দিনে ১৮ গরুর মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘জেলায় এ বছর ৪৮ হাজার ৩৪৯টি গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তবে এই জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৬ হাজার। আমরা জেলার চাহিদা পূরণের পরও ১৪ হাজার পশু অন্যত্র পাঠাতে পারব।’