সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অবৈধ খেয়া নৌকায় পারাপারের সময় লঞ্চ ও কার্গো ট্রলারের ধাক্কায় অনেকের হতাহত হওয়ার ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গত বছরের ১১ মার্চ বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। এতে ডিঙি নৌকায় নদী পাড়ি দেয়া যাত্রীদের জন্য ওয়াটার বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী খালিদ বুড়িগঙ্গা নদীতে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ওই এলাকার ২৩টি অবৈধ খেয়াঘাট বন্ধ করে ৬ মাসের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে কেরানীগঞ্জের আগানগর, বাবুবাজার ব্রিজ, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও নবাববাড়ি ঘাটসহ ৯টি খেয়াঘাটে নতুন পল্টুন বসিয়ে ওয়াটার বাসের মাধ্যমে নিরাপদে যাত্রী পারাপার করতে বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী জুন মাসে জরুরি ভিত্তিতে ৯টি ঘাটের জন্য ৯টি নতুন পল্টুন ও ওয়াটার বাস নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তারপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। পল্টুনগুলো ঘাটে অযত্নে-অবহেলায় নষ্ট হয় যাচ্ছে।
নিয়মিত বুড়িগঙ্গা পাড়ি দেয়া কেরানীগঞ্জের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, অবৈধ খেয়াঘাটগুলো থেকে কমিশন আদায় বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ওয়াটার বাস চালু করছেন না।
তারা জানান, এপ্রিল ও মে মাসে ঝড়ের মৌসুমে ডিঙি নৌকায় বুড়িগঙ্গা পারাপার হওয়া খুবই বিপজ্জনক। আগের বছরগুলোতে এ সময় নদী পাড়ি দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন। তাই এ বছর ঝড়ের মৌসুমের আগেই ওয়াটার বাস চালু করার দাবি জানান তারা।
তাদের মতে, ওয়াটার বাস চালু হলে যাত্রীরা যেমন নিরাপদে বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে পারবেন তেমনি সরকার প্রচুর রাজস্ব পাবে। এখন প্রতিবার নৌকা পারাপারে একজন যাত্রীকে ২০ টাকা দিতে হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন ইউএনবিকে জানান, তারা বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানা খুঁটি বসানোর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় যাত্রী পারাপারে ওয়াটার বাস চালু করতে দেরি হচ্ছে। অচিরেই আগানগর, মিটফোর্ড, বাবুবাজার, থানারঘাট ও হাসনাবাদসহ ৯টি ঘাটে নতুন পল্টুন বসিয়ে ওয়াটার বাস চালু করা হবে।