অবৈধভাবে দিনের পর দিন বালি উত্তোলনের ফলে আশপাশের সমতল জমিতে দেখা দিয়েছে ভাঙন, ঝুঁকিতে রয়েছে ফল আসা আম গাছ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলেও বন্ধ হয়নি বালি উত্তোলন।
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের হয়াতপুর গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে বজলুর রহমান।
বজলুর রহমানের একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জোরপূর্বক বালি উত্তোলনের করছেন একই গ্রামের রওশন আলী। গ্রামের সরকারি আবাসিক প্রকল্পের পাশে বজলুর রহমানের এক একর জমির পুকুর থেকে দিনের পর দিন বালি উত্তোলন করছেন তিনি।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েবকে ম্যানেজ করে বালি তুলে তা অবাধে বিক্রি করছেন রওশন আলী। বালু উত্তোলনের কারণে পুকুরপাড়ের পাশে দুই বিঘা জমিজুড়ে থাকা ফলন্ত আম বাগানের গাছ মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু আম গাছ ভেঙে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বজলুর রহমান গত ১১মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ন চন্দ্র পাল। পরে ৩/৪ দিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও রওশনের লোকজন ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুনরায় বালু তুলছেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ইউনিয়ন অফিসের ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) টাকা খেয়ে অবৈধভাবে পাতিবিলা ও হয়াতপুর গ্রামের অসংখ্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেন। নায়েবের উপর যদি কোনো চাপ আসে সঙ্গেসঙ্গে তিনি বালি উত্তোলনের মূল মালিককে সতর্ক করেন এবং কিছুদিনের জন্য তা বন্ধ থাকে। পরে পুনরায় বালি উত্তোলন শুরু হয়।
বজলুর রহমান জানান, রওশন আলী তার পুকুর থেকে জোর করে দিনের পর দিন বালি উত্তোলন করছেন। বাধা দিয়ে ও অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রওশন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
পাতিবিলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) লিপটন হোসেনের সাথে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। তবে, পুনরায় সেখান থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। বালি উত্তেলন করা হলে উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।