প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই বিভিন্ন জাতের ফুল গাছে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। পাতা আর কলির সঞ্জীবনে নতুন রূপের পসরা সাজিয়ে নিজেকে মেলে ধরে মুক্ত আকাশের পানে। আর ফুলের জাদুকরী বৈশিষ্ট্য মানুষকে সহসাই কাছে টানে।
দিন দিন রাঙ্গামাটির পাহাড়ি এলাকায় বেড়েই চলেছে ফুল চাষ। সফলতা পেয়ে অনেকেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ অসম্ভব ছিল। ইদানিং পাহাড়ের উঁচু জমিতে আর নার্সারিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ডালিয়া, জিনিয়া, গোলাপ, গাঁদা, সালভিয়া, এস্টার ফুল, ডাইনথাস ফুলসহ বিভিন্ন জাতের ফুল।
চোখ জুড়ানো অসংখ্য ফুলের বাগানে বছরজুড়ে উৎপাদন হচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল। পাহাড়ের এসব ফুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
পাহাড়ে ফুলের চাষ নিয়ে কথা হলে মায়ের দোয়া নার্সারির মালিক মো. সালাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন বাগানে শত শত গোলাপসহ নানা জাতের ফুল হয়। ফুলের বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ আসেন। আর ফুলের চাহিদা ভালো থাকায় এবছর বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তি চাকমা বলেন, পাহাড়ের সেচ সুবিধা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে দেশি-বিদেশি ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ সম্ভব। পাহাড়ের ব্যাপকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে পাহাড়ের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, পাহাড়ের জমিতে ফুল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায়ও ফুলের ব্যবহার হচ্ছে।
দিন দিন ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে ফুল চাষিদের কীটনাশকসহ উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষ করা গেলে এ পাহাড়ি অঞ্চলে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি বিদেশে ফুল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করা সম্ভব হবে।