ভাঙনে ইতোমধ্যেই বহু জায়গা-জমি, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অসময়ে ও শুষ্ক মৌসুমে এ ভাঙন অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১ সপ্তাহের ভাঙনে শতাধিক বাড়িঘর, ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র, দুটি মসজিদ, একটি ঈদগাহ মাঠ, ৫০টি তাঁত কারখানা, ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, বহু আবাদী জমিসহ ২ শতাধিক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত গ্রামগুলো হলো-ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাকুরতলা, কুঠিরপাড়া, বাঐখোলা, ঘাটাবাড়ি, ভেকা, জালালপুর, চিলাপাড়া ও পাচিল।
এ বিষয়ে ওই ৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মুল্লুক চাঁদ মিয়া ও হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, গেল বন্যায় এই এলাকার ৪ শতাধিক বাড়িঘর যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এতে বহু মানুষ এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আবারও এ ভাঙন শুরু হওয়ায় তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন। বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মিছিল মিটিং ও মানববন্ধন করেও কোনো কাজ হয়নি।
তারা আরও জানান, নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না যে, এখানে এতো পরিমাণ ভাঙন চলছে। স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে এ অপেক্ষায় থাকলে উল্লেখিত গ্রামগুলো সম্পূর্ণরূপে অস্তিত্ব হারাবে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের এ ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপের জোর দাবি জানান তারা।
এদিকে গত রবিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী এ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বগুড়া) তারিক আব্দুল্লাহ, সিরাজগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী যুমনা তীর সংরক্ষণ কাজ ও ১০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া গেলে এ ভাঙন রোধের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।