কোনো কোনো কলেজে জ্যেষ্ঠতা না মেনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। এ অবস্থায় শিগগিরই অধ্যক্ষ নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২ শতাধিক অনুমোদনহীন রেলক্রসিং যেন ‘মরণ ফাঁদ’
যেসব কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হয়ে আছে সেগুলো হলো- কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজ, চিওড়া সরকারি কলেজ, নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ, চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজ ও মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল সরকারি কলেজ। এর মধ্যে নাঙ্গলকোট, চান্দিনা ও মুরাদনগরের তিন কলেজ সম্প্রতি জাতীয়করণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর কুমিল্লার প্রথম শহীদ মিনার ভিক্টোরিয়া কলেজে
জানা গেছে, মুরাদনগরের শ্রীকাইল সরকারি কলেজে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজে, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজে, ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া সরকারি কলেজে, ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই থেকে কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে এবং গত ১ জানুয়ারি থেকে কুমিল্লা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদ শূন্য পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখিতে মুখরিত কুমিল্লার পুকুর আর দিঘিগুলো
কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার, জাকির হোসেন ও নাজমুল হাসান বলেন, শহরের অন্যতম বড় কলেজে অধ্যক্ষ নেই। দ্রুত এই পদ পূরণ হওয়া দরকার।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক সোমেশ কর চৌধুরী বলেন, দুবছর আগে জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিচ্ছে। এখন সবমিলিয়ে কুমিল্লা জেলার সাত কলেজে অধ্যক্ষ নেই। আমরা শূন্য পদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠিয়ে দেই। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় যখন শূন্য পদ পূরণ করবে, তখন কলেজগুলো অধ্যক্ষ পাবে।
আরও পড়ুন: করোনার সনদ পেতে বৃহত্তর কুমিল্লার ৬ জেলার মানুষের ভোগান্তি
কুমিল্লা নগরের বিশিষ্ট নাগরিক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনতিবিলম্বে কলেজগুলোতে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া উচিত। অধ্যক্ষ না থাকলে একাডেমিক, প্রশাসনিক কর্মযজ্ঞ ব্যাহত হয়। তার উপর বছরের পর বছর অধ্যক্ষ না থাকলে কোথাও কোথাও কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে।’