ঢাকা, ২৭ এপ্রিল (ইউএনবি)- বজ্রপাতের হাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে ও অপ্রত্যাশিত ক্ষতি এড়াতে সস্তা প্রযুক্তি ‘লাইটনিং অ্যারেস্টার’ (বজ্রপাত প্রতিরোধক যন্ত্র) সারাদেশে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
জরুরি সহায়তা প্রকল্পের অধীনে ব্যবহার করার জন্য সাত প্রকারের সম্পূর্ণ প্রস্তুতকৃত উপপ্রকল্প হস্তান্তর শেষে এডিবির এ দেশীয় পরিচালক মনমোহন প্রকাশ বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে এসবের ব্যবহার মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। এটি একটি সস্তা প্রযুক্তি।
এডিবির সহায়তায় প্রস্তুতকৃত এসব সুযোগ সুবিধা গত শুক্রবার এলজিআরডির সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুকের কাছে হস্তান্তর করেন এডিবির এ দেশীয় পরিচালক।
এডিবি বলছে, জরুরি সহায়তার এ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেয়া প্রায় ছয় লাখ বাস্তুচ্যুত ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উপকৃত হতে পারে।
প্রকাশ বলেন, বজ্রপাতের সময় পৃথিবীর অনেক দেশে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করায় প্রাণহানির ঘটনা কম হয়। ‘তাই আমাদের প্রকল্পের অংশ হিসেবে আমরা এখানেও (শিবিরে) এটি যোগ করেছি।’

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের মার্চ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মাত্র আড়াই মাসে বজ্রপাতের কারণ দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকাশ বলেন, কক্সবাজার শিবিরের চাহিদা ‘অনেক’ এবং এডিবি তাদের পক্ষে যতটা সম্ভব সাহায্য করতে চেষ্টা করছে।
এডিবির সহায়তা বাস্তুচ্যুত ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের জন্য উল্লেখ করে এডিবি প্রতিনিধি বলেন, সকল উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এখানে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। এটি একটি সম্মিলিত কাজ। তাই আমাদের সহযোগী ও সরকারকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।
এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের পক্ষে সচিব গোলম ফারুক উপপ্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১০০টি গোসলখান, পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পদ্ধতি এবং ২০০টি বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র।
পাশাপাশি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় সাতটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র ও ১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান এলজিআরডি সচিব গোলাম ফারুক।