এ অবস্থায় করোনা সন্দেহে এখানকার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভরসা এখনও ঢাকামুখী। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকের নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে সময় মতো ফলাফল পাচ্ছেন না।
সারা দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে ফরিদপুরে সরকারি কিংবা বেসকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা মিলছে না রোগীদের। জেলার বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন ঢিলেঢালাভাবে। জ্বর-ঠান্ডা-কাশি নিয়ে আসা রোগীদের কোনোভাবেই দেখছেন না। আর এতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের রোগীদের।
৫১৭ শয্যা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় অনেকটাই রোগী শূন্য। যারা আছে তাদের ন্যূনতম টিকিৎসা সেবা মিলছে না।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে গিয়ে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। জ্বর বা ঠান্ডা-কাশির কথা বললে চিকিৎসকরা কক্ষেও যেতে দেন না।
করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসলেই আক্রান্ত কিনা সেটি নিশ্চিত না হওয়ায় করোনা আক্রান্ত নন এমন রোগীদের কাছে যেতেও চিকিৎসকদের ভেতরে ভয় কাজ করছে।
ফরিদপুর সমরিত হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন শরীফ বলেন, ‘ফরিদপুরে এখনও করোনাভাইরাস শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ কারণে চিকিৎসকদের মাঝে এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছে। তাদের কাছে ঠান্ডাজনিত কোনো রোগী আসলে চিকিৎসা করতে ভয় পাচ্ছেন। এ পরিস্থিতির অবসান হতে হলে এখানে করোনা শনাক্তের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।’
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে (ফমেকে) গত একসপ্তাহে করোনা সন্দেহে পাঁচ রোগী ভর্তি হয়, কিন্তু তারা প্রকৃতই করোনা আক্রান্ত কিনা সেটি পরীক্ষার ব্যবস্থা না হওয়ায় বিপাকে পড়েন কর্মরত চিকিৎসকেরা। ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নমুনা সংগ্রহ করে প্রেরণ করলে তার ফলাফল পেতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আশা করছি আগামী পনের দিনের মধ্যে ফরিদপুরে করোনাভাইরাসে সন্দেহভাজনদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারব। আমরা খুব দ্রুতই ফরিদপুরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করছি।’