তবে নতুন মূল্যের পেঁয়াজ দেশে আসতে এখনো দুই-তিন দিন সময় লাগলেও দেশে আগে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই কোনো ট্রাক দেশে আসেনি।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক বছর আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ‘রপ্তানি মূল্য’ তুলে নেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা কোনো রপ্তানি মূল্য ছাড়াই ন্যূনতম ১৫০-২০০ ডলার মূল্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতেন। ফলে বন্দরের ব্যবসায়ীরা ১৫-২০ টাকা করে পাইকারি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন। কিন্তু গত দুই মাস থেকে আবার ৩৫০-৪০০ ডলারে বৃদ্ধি করলে ৩২-৩৬ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়।
ভারতের হিলির ব্যবসায়ী পান্না ও অনিল ঠাকুর জানান, ভারতের মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন প্রদেশে বন্যায় পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এসব অঞ্চলে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এজন্য সেখানে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিলে দাম বাড়তে থাকে।
তারা জানান, গত দুই মাস থেকে ৩৫০-৪০০ ডলারে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হচ্ছিল। বর্তমানে বাড়িয়ে ৮৫২ ডলার করেছে। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এই মূল্যের পেঁয়াজ এখনো বাংলাদেশে রপ্তানি শুরু করা হয়নি।
তারা বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০-৫০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। দামের বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত আছি।’
হিলি বন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ ৩৫০-৪০০ ডলারে আমদানি করা হচ্ছিল। তাতে বন্দরের মোকামে পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছিল ৩২-৩৬ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার আবার প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়।
‘নতুন মূল্যের পেঁয়াজ আমদানি করা হলে প্রতি কেজিতে ৭২ টাকার মতো পড়বে। একারণে পেঁয়াজ আমদানি করা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। কী করব বুঝতে পারছি না,’ যোগ করেন তিনি।