গ্রামটি সীমান্তের কাছে হওয়ায় ভারতীয় গরু টানার কাজসহ বিভিন্ন ধরনের ‘চোরাচালান’ কাজে গ্রামের অধিকাংশ লোকজন জড়িয়ে পড়ে। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত গ্রামবাসীর অনেকেই এখন তাদের ‘চোরাচালান’ পেশা ছেড়ে সবজি চাষে ফিরেছেন। এখন তারা স্বাবলম্বী এবং সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
সীমান্তের দুইশ গজের ভেতরে পাটসহ কোনো উঁচু গাছ বা ফসল লাগানো নিষেধ রয়েছে বিজিবির। তাই তারা সীমান্তের ধার ঘেঁষে এখন পটল, উস্তা, বেগুন, টমেটো, মরিচসহ নানা ধরনের সবজির চাষ করছেন। তবে পটল চাষে মানুষের আগ্রহ বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রুদ্রপুর ক্যাম্পের পূর্বপাশ থেকে খালমুখ পর্যন্ত সীমান্ত সংলগ্ন সারা মাঠেই পটলের চাষ। ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের সীমান্ত সংলগ্ন সব জমিতে একইভাবে পটলের চাষ চলছে।
পটল চাষি আলিম জানান, তিনি ১২ কাঠা জমিতে পটল, নালার ধার ঘেঁষে পেঁয়াজ ও রসুন লাগিয়েছেন আর আইলের ধারে বাঁধাকপি লাগিয়েছেন। এ বছর প্রথম তিনি ৯০ টাকা কেজি দরে পটল বিক্রি করেছেন। পটল চাষে তার খরচ খুব একটা বেশি হয়নি। গত বছর এই জমিতে তিনি প্রায় এক লাখ টাকার পটল বিক্রি করেন।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক সুকদেব রায় জানান, সীমান্তে চোরাচালান ও গরু পাচার বন্ধে বিজিবির পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সীমান্তের মানুষকে সভার মাধ্যমে সচেতন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখন আর কেউ গরু আনতে ভারত সীমান্তে যাচ্ছেন না। ফলে সীমান্তে গোলাগুলিও নেই।
শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, শার্শা সীমান্তে যারা চোরাচালানের সাথে জড়িত তাদের অধিকাংশই এখন সবজি চাষে মাঠে কাজ করছেন। সবজিসহ বিভিন্ন চাষাবাদে মনোযোগী হয়েছেন। চাষাবাদের জন্য তাদেরকে সার্বিকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।