সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিরা বুধবারও ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনায় বসেছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি, রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আইনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে।
তিনি টুইটারে বলেছেন, জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ‘সরাসরি সংলাপের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব’।
জেলেনস্কির অফিসের একজন কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, আলোচনার মূল বিষয় হল যুদ্ধের পর রাশিয়ান সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে থাকবে কি না এবং সীমান্ত কোথায় থাকবে।
যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই অঞ্চলগুলোর সীমানা ইউক্রেনের দখলে থাকা অঞ্চলগুলোতেও প্রসারিত, যার মধ্যে বন্দর নগরী মারিউপোলও রয়েছে, যেটি এখন রুশ বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পড়ুন: কিয়েভ-মস্কো আলোচনা বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে: জেলেনস্কি
আলোচনার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় ইউক্রেন এক বা একাধিক পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তির রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টিসহ একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নথি স্বাক্ষরের উপর জোর দিয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, এর বিনিময়ে ইউক্রেন একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ছিল।
তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে সদস্য পদ দেয়া হবে না তার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
মঙ্গলবারের আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ ইউক্রেনের জন্য একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষ ‘গুরুত্ব’ দিয়ে আলোচনা করছে। এর আগে জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার দাবিগুলো ‘আরও বাস্তবসম্মত’ হয়ে উঠছে।