ভলোদিমির জেলেনস্কি
পূর্ব ইউক্রেনের সর্বশেষ মুক্ত শহরে রুশ হামলা জোরদার
তুমুল লড়াই চলা পূর্ব ইউক্রেন সম্পূর্ণ দখলের লক্ষ্যে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। সিভিয়ারোডোনেটস্ক এবং কাছাকাছি লাইসিচানস্ক শহরগুলো দখল করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। যেটি লুহানস্কে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ প্রধান এলাকা।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশকে নিষেধাজ্ঞার দেয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করে অস্ত্র সরবরাহ করা ইউরোপীয় দেশগুলোকে সর্তক করেছেন।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই সপ্তাহে তারা ইউক্রেণের ছোট শহর লাইমান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। শুক্রবার, ডোনেটস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটির বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এই অঞ্চলের আরেকটি শহর বাখমুতের দিকে তাদের আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করছে।
তবে দেশটির উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হানা মালিয়ার মস্কোর দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, লাইমানে লড়াই এখনও চলছে।
শনিবারের এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির পূর্বের পরিস্থিতিকে ‘খুব জটিল’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী কিছু ফলাফল চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় পদদলিত হয়ে শিশুসহ নিহত ৩১
তবে ডোনেস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়ার সাম্প্রতিক অগ্রগতি পুতিনকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। তারা ইউক্রেণের ছোট ছোট শহরগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে শনিবার ৮০ মিনিটের একটি ফোন কল করেছেন যেখানে তিনি ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের ক্রমাগত সরবারহের বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ সংকটের জন্য দায়ী করেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে তারা পুতিনকে জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
২ বছর আগে
ইউক্রেন সফরকালে নাগরিকদের ওপর হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা
ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার সব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলায় দুটি ভবনে আঘাত হানলে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত একজন পা হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করার মাত্র এক ঘণ্টা পরে বোমা হামলা হয়। গুতেরেস কিয়েভ ও এর আশ-পাশে কিছু ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, ‘ইউক্রেন অসহ্য দুঃখ ও বেদনার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।’
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমে পোলোনে, বেলারুশের সীমান্তের কাছে চেরনিহিভ এবং রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বড় রেলওয়ে হাব ফাস্টিভে। দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসার মেয়র বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষার মাধ্যমে রকেট প্রতিহত করা হয়েছে।
দনবাস ও খারখিভেও রুশ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কিয়েভ যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ একটি 'গণহত্যা': বাইডেন
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘গণহত্যার’ সমান বলে মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘এমনকি একজন ইউক্রেনীয় হওয়ার ধারণাটি মুছে ফেলার’ চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন।
ওয়াশিংটনে ফেরার জন্য এয়ার ফোর্স ওয়ানে উঠার কিছুক্ষণ আগে আইওয়াতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটাকে গণহত্যা বলেছি।’
বাইডেন বলেন, ‘এটি আরও পরিষ্কার ও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে পুতিন কেবল ইউক্রেনীয় হওয়ার ধারণাটি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন।’
মেনলো, আইওয়াতে একটি পূর্ববর্তী ইভেন্টে যুদ্ধের ফলে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি ভেবেছিলেন পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছেন, তবে কোনও বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
বাইডেনের মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশংসা অর্জন করেছে, যিনি পশ্চিমা নেতাদের তার দেশে রাশিয়ার হামলা বর্ণনা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, রাশিয়ার আচরণ গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে কি না তা সিদ্ধান্ত নেয়ার আইনজীবীদের উপর নির্ভর করে, যেমনটি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তবে তিনি বলেছেন ‘এটি আমার কাছে নিশ্চিত মনে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ানরা যে ভয়ঙ্কর কাজগুলো করেছে তার আরও প্রমাণ আক্ষরিক অর্থে বেরিয়ে আসছে এবং আমরা কেবল ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে আরও বেশি কিছু শিখতে যাচ্ছি এবং আইনজীবীদের আন্তর্জাতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দিব যে এটি যোগ্য কি না।
গত সপ্তাহে বাইডেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেননি যে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড গণহত্যার সমান, কেবলমাত্র তারা ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছে।
পড়ুন: মারিউপোলে ১০ হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত: মেয়র
নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
২ বছর আগে
ইউক্রেনের ২ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির দুজন জ্যৈষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে বরখাস্ত করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আজকে অ্যান্টি-হিরোদের বিষয়ে আরেকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বিশ্বাসঘাতের মোকাবিলা করার সময় আমার নেই। তবে ধীরে ধীরে তাদের সবাইকে শাস্তি দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মারিউপোল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে বাসের বহর
তিনি দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, যারা ইউক্রেনীয় জনগণের প্রতি আনুগত্যের সামরিক শপথ ভঙ্গ করবে... তারা অবশ্যই উচ্চ সামরিক পদ থেকে বঞ্চিত হবে।
২ বছর আগে
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ উদ্ধারকর্মী আটকের অভিযোগ ইউক্রেনের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবিক কাজে নিয়োজিত ১৫ জন উদ্ধারকর্মী ও চালককে আটক করার অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনীয় নেতারা।
তারা রুশ হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মারিউপোলে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য জিনিস সরবরাহ দিতে মানবিক কজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
মারিউপোল শহরটি বিমান, স্থল পরেও নৌ-আক্রমণের শিকার হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এক লাখের মতো বেসামরিক লোক মারিউপোলে রয়ে গেছে। এটি যুদ্ধের সবচেয়ে খারাপ কিছু ধ্বংসযজ্ঞের একটি।
আরও পড়ুন: ভারতে গোডাউনে আগুন: ১১ জনের মৃত্যু
জেলেনস্কি তার জাতির উদ্দেশ্যে রাতের ভিডিও ভাষণে মঙ্গলবার রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবিক কাজে সহায়তাকারীদের অবরুদ্ধ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা মারিউপোলের বাসিন্দাদের জন্য স্থিতিশীল মানবিক করিডোর সংগঠিত করার চেষ্টা করছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের প্রায় সমস্ত প্রচেষ্টাই রুশ দখলদাররা ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
পোল্যান্ডে পালিয়ে আসা ইউক্রেনের ৩৯ বছর বয়সী নাগরিক ভিক্টোরিয়া টোটসেন বলেন, ‘তারা গত ২০ দিন ধরে আমাদের বোমা মেরেছে। গত পাঁচদিনে, প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে বিমানগুলো আমাদের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আবাসিক ভবন, কিন্ডারগার্টেন, আর্ট স্কুল, সর্বত্র বোমা ফেলছিল।’
আরও পড়ুন: চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন: জেলেনস্কি
মারিউপোলবাসীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার
২ বছর আগে
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ভিডিও লিঙ্কে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ
সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিরা বুধবারও ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনায় বসেছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি, রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আইনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে।
তিনি টুইটারে বলেছেন, জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ‘সরাসরি সংলাপের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব’।
জেলেনস্কির অফিসের একজন কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, আলোচনার মূল বিষয় হল যুদ্ধের পর রাশিয়ান সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে থাকবে কি না এবং সীমান্ত কোথায় থাকবে।
যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই অঞ্চলগুলোর সীমানা ইউক্রেনের দখলে থাকা অঞ্চলগুলোতেও প্রসারিত, যার মধ্যে বন্দর নগরী মারিউপোলও রয়েছে, যেটি এখন রুশ বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পড়ুন: কিয়েভ-মস্কো আলোচনা বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে: জেলেনস্কি
আলোচনার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় ইউক্রেন এক বা একাধিক পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তির রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টিসহ একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নথি স্বাক্ষরের উপর জোর দিয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, এর বিনিময়ে ইউক্রেন একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ছিল।
তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে সদস্য পদ দেয়া হবে না তার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
মঙ্গলবারের আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ ইউক্রেনের জন্য একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষ ‘গুরুত্ব’ দিয়ে আলোচনা করছে। এর আগে জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার দাবিগুলো ‘আরও বাস্তবসম্মত’ হয়ে উঠছে।
পড়ুন: রুশ হামলায় কিয়েভে আগুন, পরিদর্শনে ইইউ এর ৩ নেতা
২ বছর আগে
আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণের শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে বলে একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, রবিবার গভীর রাতে কিয়েভের উপকণ্ঠ উত্তরে চেরনিহিভ, দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভারি কামান খারকিভের আবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে এবং গোলাবর্ষণে একটি টেলিভিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে: ইউক্রেন
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে বলেছেন, মস্কোর আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে ‘কেবল কিয়েভ যদি শত্রুতা বন্ধ করে।
সোমবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান ১২তম দিনে পৌঁছেছে। যুদ্ধের কারণে ১৫ লাখ লোক দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেছেন ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট দেখা দিয়েছে।’
সোমবার রাশিয়ান ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীন: ইউক্রেন যুদ্ধের আগুনে ঘি দিয়েন না
২ বছর আগে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু
ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকার পঞ্চম দিনে দু’দেশের প্রতিনিধি দল যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, দেশটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার চায়।
এদিকে রুশ আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেছেন, মস্কোও দু’পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি করতে চায়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ১৬ শিশু নিহত ও ৪৫ জন আহত: প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
এ আলোচনা শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ সৈন্যদের অস্ত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি অবিলম্বে ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ দেয়ার জন্য জোটটির প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান হামলায় বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান পুড়ে ছাই
এর আগে বিবিসি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য দেশটির প্রতিনিধি দল ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছেছে।
তাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় থাকবে- যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।
২ বছর আগে
বেলারুশ সীমান্তে হবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বৈঠক
ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠক বেলারুশ সীমান্তে হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে জানিয়েছে, বেলারুশ সীমান্তের একটি অজ্ঞাত স্থানে সাক্ষাৎ করবে দুই পক্ষ। তবে বৈঠকের কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
রবিবার রাশিয়া জানায়, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য রুশ প্রতিনিধি দল বেলারুশে পৌঁছেছে এবং তারা আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে। রাশিয়ার এমন তথ্য জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেন এ ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের খারকিভ শহরে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা
তবে এর আগে বেলারুশে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ ইউক্রেনে আক্রমণের আগে রাশিয়া বেলারুশে বিশাল সৈন্য বহর পাঠিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কার্যালয় বলছে, পুতিন মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ‘ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের ভ্রমণ, আলোচনা ও প্রত্যাবর্তনের সময় দেশটিতে অবস্থানরত সব বিমান, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূমিতে থাকবে; তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন: জাতিসংঘ
২ বছর আগে
রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশে আলোচনা নয়: ইউক্রেন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে, তবে সেটি বেলারুশে নয়। ইউক্রেনের অভিযোগ রাশিয়া বেলারুশ থেকেও দেশটির ওপর আক্রমণ করেছে।
রবিবার এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন আলোচনার জায়গা হিসেবে রাশিয়ার প্রস্তাবিত বেলারুশকে মেনে নেবে না।
এ সময় তিনি আলোচনার জন্য বিকল্প স্থান হিসেবে ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, ইস্তাম্বুল, বুদাপেস্ট ও বাকুর নাম প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া অন্য স্থানেও আলোচনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের খারকিভ শহরে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা
এর আগে রবিবার ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি রুশ প্রতিনিধি দল বেলারুশের হোমেল শহরে পৌঁছেছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রুশ প্রতিনিধি দলে সামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিক রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রুশ প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং আমরা এখন ইউক্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
আরও পড়ুন: ২ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন: জাতিসংঘ
২ বছর আগে