ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার মান্দাইলিং নাটাল জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে অবৈধ সোনারখনিতে ভূমিধসে ১২ নারী মারা গেছে। এসময় আরও দু’জন নারী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান মারলন রাজাগুকগুক জানান, বৃহস্পতিবার মাত্র ২ মিটার গভীর একটি অননুমোদিত সোনার খনিতে কমপক্ষে ১৪ জন নারী সোনার গুঁড়া খুঁজছিলেন। এসময় অকস্মাৎ ভূমিধসে তারা মাটির নিচে চাপা পড়ে।
রাজাগুকগুক বলেন, দুই ঘণ্টার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে দু’জন আহত নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও ১২ জন নারীর লাশ ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় অবৈধ সোনার গর্তগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ায় অনানুষ্ঠানিক খনি থেকে সোনা সংগ্রহ করা একটি বহুল পরিচিত কাজ। এই কাজের মাধ্যমে দেশটির কয়েক হাজার মানুষ সামান্য মজুরিতে কাজ করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। এসব খনিতে কাজ করা শ্রমিকেরা গুরুতর আহত হওয়া বা মৃত্যুর উচ্চঝুঁকি নিয়েই কাজ করে।
এ কারণে ভূমিধস, বন্যা ও সুড়ঙ্গধসে প্রায়ই খনি শ্রমিকেরা মারা যায়।
এছাড়া, বেশিরভাগ সোনার আকরিক প্রক্রিয়াকরণে অত্যন্ত বিষাক্ত পারদ ও সায়ানাইড ব্যবহার করা হয়। এসব শ্রমিকেরা নামমাত্র বা কোন সুরক্ষা ব্যবহার না করেই এ কাজ করে থাকে।
দেশটির শেষ বড় খনি দুর্ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেসময় উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি অবৈধ সোনার খনিতে ভূমিধসে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩ চীনা নাগরিক নিহত