বর্তমানে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট এরিস (ইজি.৫.১) ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২০ দশমিক ৫ হারে আক্রান্ত বাড়ছে।
ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এরিসকে (ইজি.৫.১) শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সংক্রামক করোনভাইরাস ২ (সার্স কভ-২) হিসেবে তার ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং (ভিইউএম) এর তালিকাভুক্ত করেছে।
কানাডার অন্টারিওর গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির অধ্যাপক টি রায়ান গ্রেগরি এক টুইটে ইজি.৫.১ ভাইরাসটির বৈচিত্র্য বর্ণনা করার জন্য ‘এরিস’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯.২৬ কোটি ছাড়িয়েছে
টুইটে গ্রেগরি লিখেছেন, ‘যতদূর আমরা বলতে পারি ইজি.৫.১ সম্পর্কে আমরা এখনো বিশেষ কিছু জানিনা।’
তবে এটি যে হারে ছড়িয়ে পড়েছে তা বিবেচনা করে, এটিকে পূর্ববর্তী ধরনগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে মনে হচ্ছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি অনুসারে, ২০ জুলাই পর্যন্ত, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫৫ জন ইজি.৫.১ ভেরিয়েন্টটিকে আক্রান্ত এবং যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২০ দশমিক ৫১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) কোভিড-১৯ ডেটা ট্র্যাকারের তথ্যমতে, ইজি.৫.১ এর ফলে ২২ জুলাই পর্যন্ত দুই সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।
এরিসের উত্থান এবং বিস্তারে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। তবে, এটি এতে বোঝা যাচ্ছে করোনা ভাইরাস কীভাবে পরিবর্তন হতে থাকে এবং একটি সমস্যা হিসেবে টিকে থাকে।
তাই প্রত্যেকের উচিত করোনার নতুন ধরনের উদ্ভব ও সেগুলোর বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি সম্পর্কে ওয়াবিবহল থাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯.২২ কোটি ছাড়িয়েছে