বার্তা সংস্থা এপি’র এক প্রতিবেন অনুসারে, মহামারির এই কয়েক মাস পর অনেক নারী এখন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের গর্ভাবস্থায় রয়েছেন, কারণ তারা সময়মতো গর্ভনিরোধক পরিষেবা নেয়ার সুযোগ পাননি।
বিশেষ করে কয়েক মাসের কঠোর লকডাউনে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গর্ভধরাণের হার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মেরি স্টোপস ইন্টারন্যাশনাল তাদের সম্প্রতি প্রকাশিথ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭টি দেশের প্রায় ২০ লাখ নারী কম সেবা পেয়েছে, এর মধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই রয়েছে ১৩ লাখ।
সংস্থাটি জানায়, এর ফলে ১৫ লাখ অনিরাপদ গর্ভপাতের পাশাপাশি তিন হাজারেরও বেশি মাতৃমৃত্যু এবং ৯ লাখ অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এবং জুলাইয়ের প্রথমদিকে জরিপ করা ১০৩টি দেশের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেই পরিবার পরিকল্পনা এবং গর্ভনিরোধক পরিষেবাগুলোতে ব্যাঘাতের বিষয়টি উঠে এসেছে।