জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৩১২ জনে। শনিবার সকাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৭ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ৯ হাজার ৩৩৫ জন।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫১ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৪ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ১৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৮১ হাজার ১৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯৬ লাখ ৭ হাজার ২১১ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৫ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৮ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮০৭ জনে।
একদিনে নতুন করে ১ হাজার ৮৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ জনে পৌঁছেছে।
২৪ ঘণ্টায় ১১৮ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ হাজার ১৯৯টি। আর আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৫৪০টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫১টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩.৯৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৪৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং নারী ১২ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।