এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার ২৮৫ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, রবিবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৯১৩ এবং ৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৬২ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৮ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় ৪৯ হাজার ৯৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, শুক্রবার চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আনও ২৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে দেশটিতে নতুন করে কোনো প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০ জুন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন এবং মারা গেছেন এক হাজার ৪২৫ জন। আক্রান্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বরিশালে শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া চিকিৎসক এমদাদের করোনা ছিল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৩০১টি নমুনা। এতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ২৪০ জন বা ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৮ জন। যার ফলে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ৪০.৪৪ শতাংশ।