এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ৩ হাজার ৯৪২ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৪২ হাজার ২৫৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির মাঝামাঝিই ভ্যাকসিন পেতে পারি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশের বিদ্যুৎ খাতে কেমন প্রভাব পড়ল
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ২০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৫ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এক দিনে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৫৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ এবং নারী ৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ৮ কোটি সাড়ে ১৯ লাখ ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৪০৮টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.১১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫.৯৪ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫০৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমকি ৯৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৯ ডিসেম্বর।