এই মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়ায় জাতীয় টিকা কর্মসূচি শুরু হবে, তখন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করবেন তিনি।
দেশটির বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীমন্ত্রী ও জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়মন্ত্রী খয়েরি জামালউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেশটিতে ফাইজারের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
গতরাতে বার্নামা টিভি টকশোতে তিনি বলেন, ‘জনগণকে ফাইজারের ভ্যাকসিনটি নিরাপদ বলে আশ্বস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই ভ্যাকসিন নেবেন।’
গত ৪ ফেব্রুয়ারি, মুহিইদ্দিন বলেছেন, জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি মাসের শেষের দিকে শুরু হবে এবং সরকার দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বা ২৬.৫ মিলিয়ন ব্যক্তিকে বিনামূল্যে তিনটি ধাপে এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনার টিকা নিয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ
করোনার টিকা প্রদানে কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন সুবিধা বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কুষ্টিয়ায় নার্সের বদলে করোনার টিকা দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৫ লাখ সম্মুখসারির যোদ্ধাকে, যারা সরাসরি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িত, তাদের টিকা দেয়া হবে।
এপ্রিল থেকে আগস্টে দ্বিতীয় ধাপে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ নাগরিক এবং হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
মে মাস থেকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে তৃতীয় ধাপ। এই ধাপে যাদের বয়স ১৮ বা তারও বেশি তাদেরকে টিকার আওতায় আনা হবে।
অন্যান্য উন্নত দেশ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় মালয়েশিয়া পরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করছে এমন অভিযোগের বিষয়ে খয়েরি বলেছেন, কারণ মালয়েশিয়া আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনায় বেশি মনোযোগী।
‘অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো আমরা এখনও বেশি দেরি করিনি। তারা এখনও ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি ক্রয় ও বিতরণ প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে চাই এবং এখনও পর্যন্ত স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আমরা ফেব্রুয়ারিতে (ভ্যাকসিন) গ্রহণ করব,’ বলেন তিনি।
খয়েরি বলেন, ইন্দোনেশিয়া সিনোভাক ভ্যাকসিনটি প্রথম দিকে পেতে সক্ষম হয়েছে। কারণ সেখানে করোনার ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ফাইজার-বায়োএনটেকের সাথে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ থাকার কারণে তারা ভ্যাকসিনটি তাড়াতাড়ি পেয়েছে।
দুই দেশকেই প্রাধান্য দিয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান, বলেন তিনি।