উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যে তিনজনের শরীরে করোনার টিকা পুশ করেছেন তারা হলেন- কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী মোখলেছুর রহমান এবং স্থানীয় সাংবাদিক কে এম আর শাহীন।
টিকা নিলেন জাফরুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীকেও নেয়ার আহ্বান
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন চিকিৎসক জানান, দক্ষ নার্স, চিকিৎসক বা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ এটা (টিকা) পুশ করতে পারেন না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) করতে পারেন না। করোনা টিকা দেয়ার জন্য নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারাই টিকা প্রদান করতে পারেন। অন্য কারও টিকা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
করোনার টিকা নিলেন প্রধান বিচারপতিসহ ৫৫ বিচারপতি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিরিঞ্জ হাতে নিয়ে তিনজনের শরীরে টিকা দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান। তবে নার্স ও চিকিৎসকরা তাকে সহায়তা করেন।
করোনা: মানিকগঞ্জে প্রথম টিকা নিলেন ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জন
এদিকে এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকেও।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ওই কক্ষের বাইরে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই।’
তবে এ বিষয়ে আবদুল মান্নান খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
টিকা নিয়ে প্রমাণ করেছি বিএনপি মিথ্যাচারে লিপ্ত: হানিফ
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টিকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছিলাম। অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। পরে শুনেছি উপজেলা চেয়ারম্যান টিকা পুশ করেছেন। চেয়ারম্যান না দিয়ে নার্স দিলেই ভালো হতো।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সঠিকভাবে টিকা দেয়া না হলে মাংশপেশির চারপাশে প্রদাহ দেখা দিতে পারে।’