জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আরও ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী বাহিনী, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে এবং কাউকে পেছনে না ফেলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আগামী সেপ্টেম্বরে একটি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিট আহ্বান করেছেন। যাতে বিভিন্ন বিশ্বনেতা, তরুণ ও অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।
শুক্রবার তিনি সবাইকে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ ২০৩০ স্ট্র্যাটেজি পূরণে আমি সকলকে শীর্ষ সম্মেলনে এবং এর বাইরে যুব দক্ষতা উন্নয়নে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করার অনুরোধ করছি।
গুতেরেস বলেন, তরুণরা পরিবর্তনের চালক এবং তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্তে তাদের সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকতে হবে।
তিনি কাজের ভবিষ্যতের জন্য যুবকদের দক্ষতা পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ থেকে শুরু করে ক্রমাগত দারিদ্র্য পর্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক সংকটের কারণে তরুণরা অসমভাবে প্রভাবিত হয়।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এই ভঙ্গুরতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ৩৯ মিলিয়ন যুব কর্মসংস্থান কমেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২৪ মিলিয়ন তরুণ স্কুলে না ফেরার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই মহামারি শ্রমবাজারের রূপান্তরকেও ত্বরান্বিত করেছে এবং অনিশ্চয়তা ও ডিজিটাল বিভাজন বাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই তরুণদের কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও জীবনমুখী শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং ডিজিটাল দক্ষতায় বিনিয়োগ করার মাধ্যমে যুবকদের দক্ষতার বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হবে।’