এ পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনকারীরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর তীব্র বিরোধিতা রয়েছে এ চুক্তিতে।
শুক্রবার পর্যন্ত চুক্তি সমর্থনকারী দেশ ছিল ৪৯টি এবং জাতিসংঘ শনিবার জানায় যে ৫০তম দেশ হিসেবে হন্ডুরাস চুক্তিতে অনুসমর্থন দিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব ৫০ দেশের প্রশংসা করেছেন এবং চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা ও তা অনুমোদন করাতে নাগরিক সমাজের ‘গঠনমূলক কাজকে’ অভিবাদন জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন যে এ চুক্তি ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এটি হবে পারমাণবিক অস্ত্রের যেকোনো ব্যবহারের বিপর্যয়মূলক মানবিক পরিণতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য চলা বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সমাপ্তি এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণ ও পরীক্ষায় বেঁচে যাওয়া মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
গুতেরেস আরও বলেন, এ চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণের প্রতি একটি অর্থপূর্ণ প্রতিশ্রুতি উপস্থাপন করে যা জাতিসংঘের সর্বোচ্চ নিরস্ত্রীকরণে অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এ্যাবোলিস নিউক্লিয়ার ওয়েপনস (আইসিএএন) জোটসহ অন্যান্য এনজিও হন্ডুরাসের অনুসমর্থনের খবরকে স্বাগত জানিয়েছে। আইসিএসি পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি সফল করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ২০১৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে।
আইসিএএন এক টুইটে বলছে, ‘হন্ডুরাস মাত্রই ৫০তম দেশ হিসেবে চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে, এটি চুক্তি কার্যকর জোরদার করবে এবং এক ইতিহাস হয়ে থাকবে।’
আগস্টে নাগাসাকি ও হিরোসিমায় পরমাণু বোমা হামলার ৭৫তম বার্ষিকী পালনের পরে কয়েক মাসে অনেকগুলো দেশ চুক্তিটি অনুসমর্থন করেছে।