কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন দেয়া হলে বা ওই জনগোষ্ঠীতে দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে হার্ড ইমিউনিটির সৃষ্টি হয় বলে ধরে নেয়া হয়।
কেউ কেউ অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছেন টিকা না আসা পর্যন্ত করোনাভাইরাসকে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়তে দেয়া উচিত।
ডব্লিএইচও প্রধান কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটির চিন্তাকে ‘বৈজ্ঞানিকভাবে ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, হার্ড ইমিউনিটি হলো টিকা দেয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি ধারণা। কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেয়া হলে ওই জনগোষ্ঠীতে ওই ভাইরাসটির সংক্রমণ আর হয় না।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত করার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা হয়। একে ছড়িয়ে দিয়ে নয়। মহামারি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এটা কোনো কৌশল হিসেবে কখনও ব্যবহার করা হয়নি।’
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর এই ভাইরাস দ্রুত পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৯ জনে পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৮ জন।
বিশ্ব মহামারি নিয়ন্ত্রণে লড়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা টিকা আবিষ্কারে জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে।
ডব্লিউএইচএওর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ১৯৩টি ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ৪২টি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আছে।