এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৬ জনে।
এ সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৭২ হাজার ১০০ জন।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৬৭৪ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৬ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
বাংলাদেশে এক দিনে আরও ৪৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আরও ২ হাজার ৬৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭৭টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ২১০টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৫২৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৬৬ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন। নতুন করে আরও ৪৭ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫২ জনে।
এছাড়া পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪.১১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯. ৫৪ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ এবং নারী ১১ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৩ জন এবং বাড়িতে চারজন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৫৮০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৬১৪ জন। সুস্থতার হার ৫০.৯৩ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।